Advertisement
৩০ এপ্রিল ২০২৪
Anil Ambani

বিদেশি মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইন লঙ্ঘনের মামলায় অনিল অম্বানীকে তলব ইডির, রেকর্ড হল বয়ান

প্রসঙ্গত, বেআইনি আর্থিক লেনদনের মামলায় ২০২০ সালে ইয়েস ব্যাঙ্কের প্রাক্তন সিইও রানা কপূর-সহ কয়েক জনকে ইডি তলব করেছিল। এর পর ডাকা হয়েছিল অনিলকেও।

Reliance ADA Group Chairman ED questions Anil Ambani in fresh FEMA case

রিলায়্যান্স এডিএ গ্রুপের কর্ণধার অনিল অম্বানী। ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
মুম্বই শেষ আপডেট: ০৩ জুলাই ২০২৩ ১৮:৪০
Share: Save:

বিদেশি মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইন (ফেমা)-এ অভিযুক্ত অনিল অম্বানীর বয়ান রেকর্ড করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। সোমবার দক্ষিণ মুম্বইয়ের ইডি দফতরে তলব করে ইয়েস ব্যাঙ্ক-কাণ্ডে তাঁর বয়ান রেকর্ড করা হয়।

গত বছরের অগস্টে, আয়কর বিভাগ কালো টাকা বিরোধী আইনে নোটিস পাঠিয়েছিল। সুইস ব্যাঙ্কের দু’টি অ্যাকাউন্টে ‘অঘোষিত’ ৮১৪ কোটি টাকা রাখার অভিযোগ তুলে আয়কর দফতর নোটিসে ৪২০ কোটি টাকা কর ফাঁকির অভিযোগ এনেছিল। সেই সঙ্গে জরিমানা করা হয় অনিলকে। যদিও গত মার্চ মাসে বম্বে হাই কোর্ট অনিলকে পাঠানো নোটিস এবং জরিমানার উপর স্থগিতাদেশ জারি করেছিল।

প্রসঙ্গত, বেআইনি আর্থিক লেনদনের অভিযোগে ২০২০ সালে ইয়েস ব্যাঙ্কের প্রাক্তন সিইও রানা কপূর-সহ কয়েক জনকে ইডি তলব করেছিল। এর পর ডাকা হয়েছিল অনিলকেও। প্রসঙ্গত, ইয়েস ব্যাঙ্কের থেকে যে সব সংস্থা বিরাট পরিমাণে ঋণ নিয়েও শোধ করেনি, তাদের মধ্যে অনিলের সংস্থা রিলায়্যান্স এডিএ গ্রুপ অন্যতম। ইয়েস ব্যাঙ্ক অনিলের সংস্থাকে প্রায় ১২,৮০০ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছিল। তা সুদে-আসলে বেড়ে ১৪ হাজার কোটি টাকায় পৌঁছেছে। কিন্তু ঋণ শোধ হয়নি।

ইয়েস ব্যাঙ্ক ডুবতে বসার পরে ইডি তদন্তে নেমে দেখতে পায়, ইয়েস ব্যাঙ্কের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রাক্তন সিইও রানা বিভিন্ন সংস্থাকে ঝুঁকি সত্ত্বেও ঋণ পাইয়ে দেন। তার বিনিয়মে ঘুষ হিসেবে ওই সব সংস্থা নিজের ও তাঁর স্ত্রী-কন্যার মালিকানাধীন সংস্থায় টাকা ঢেলেছিল। ডিএইচএফএল-এর ক্ষেত্রে ৬০০ কোটি টাকা ঘুষের অভিযোগে তদন্তের পরে বাকি ঋণ বিলির ক্ষেত্রেও একই ভাবে ঘুষ নেওয়া হয়েছিল কি না, তা নিয়েও তদন্ত শুরু হয়।

সিবিআই ও ইডি তদন্ত শুরু করার পরেই অনিলের সংস্থা স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে বিবৃতি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছিল, রানা বা তাঁর স্ত্রী, কন্যার কোনও সংস্থার সঙ্গে তাদের কোনও লেনদেন নেই। ইয়েস ব্যাঙ্কের থেকে যে ঋণ নেওয়া হয়েছে, তার বিনিময়ে বন্ধক রাখা হয়েছে। স্বাভাবিক ব্যবসায়িক লেনদেনের নিয়ম মেনেই ঋণ নেওয়া হয়েছে। ইয়েস ব্যাঙ্কের ঋণ শোধ করতেও সংস্থা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

অনিলের গোষ্ঠী এই দাবি করলেও ইডি-কর্তাদের বক্তব্য, সংস্থার প্রধানকে ব্যাখ্যা করতে হবে কোন শর্তে তিনি এই ঋণ পেয়েছিলেন। এই ঋণের বিনিময়ে তাঁর সঙ্গে ইয়েস ব্যাঙ্ক বা তার কর্তাদের সঙ্গে আলাদা কোনও চুক্তি হয়েছিল কি না, তা-ও জানতে চাওয়া হবে। রানার আমলে ৭৮টি বড় গোষ্ঠী ইয়েস ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ পেয়েছিল। যার প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা শোধ হয়নি। এর মধ্যে অনিল অম্বানী-সহ পাঁচটি বড় গোষ্ঠীর সঙ্গে লেনদেন নিয়ে তদন্ত করেছে সিবিআই এবং ইডি। সেই তদন্তের সূত্রেই বিদেশি মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইন লঙ্ঘনের মামলায় অনিলের বয়ান নেওয়া হয়েছে বলে ইডি সূত্রের খবর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE