Advertisement
E-Paper

যখন খুশি আন্দোলন নয়, শাহিনবাগে লাগাতার আন্দোলন প্রসঙ্গে মন্তব্য শীর্ষ আদালতের

প্রসঙ্গত, ২০১৯-এ সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছিল শাহিনবাগ। আন্দোলনকারীরা ৩ মাস ধরে শাহিনবাগে আন্দোলন চালান।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৩:২৯
—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

আন্দোলন করার অধিকার আছে। কিন্তু যত্রতত্র এবং যখন খুশি আন্দোলন করাটা মোটেই কাম্য নয়। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (সিএএ) বিরুদ্ধে দিল্লির শাহিনবাগের আন্দোলন নিয়ে এক মামলার প্রেক্ষিতে শনিবার এই মন্তব্য করল শীর্ষ আদালত।

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলন ছড়িয়েছিল গোটা দেশে। দিল্লিতে এই ঘটনা নিয়ে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। হিংসা ছড়ায়। শাহিনবাগে পথ আটকে দীর্ঘ দিন ধরে এই আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলন চলে। পথ আটকে আন্দোলন করায় জনসাধারণকে সমস্যার মুখে পড়তে হয়। পথ আটকে আন্দোলন করা নিয়ে নানা প্রশ্নও ওঠে। বিষয়টি শীর্ষ আদালত পর্যন্ত গড়ালে তারা জানায়, গণতন্ত্র এবং বিরোধিতা পাশাপাশি চলতে পারে। কিন্তু এ ভাবে প্রতিবাদ, বিক্ষোভ চালানো মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়।

শীর্ষ আদালতের এই রায় নিয়ে ১২ জন সমাজকর্মী একটি হলফনামা দাখিল করেন গত বছর। শনিবার সেই মামলারই শুনানি ছিল বিচারপতি এস কে কল, অনিরুদ্ধ বসু এবং কৃষ্ণা মুরারির ডিভিশন বেঞ্চে। আদালত তখন জানায়, প্রতিবাদের অধিকার যখন খুশি এবং যেখানে সেখানে প্রয়োগ করা যায় না। স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে আন্দোলন চলতেই পারে, কিন্তু কোনও জনবহুল এলাকা দীর্ঘ দিন ধরে আটকে রেখে আন্দোলন চালালে অন্যদের অধিকার বাধাপ্রাপ্ত হয়, যা মোটেই কাম্য নয়। পাশাপাশি আদালত এটাও জানিয়ে দেয় যে, এই ধরনের আন্দোলন করতে এমন জায়গা বাছতে হবে, যেখানে অন্য কাউকে বাধা বা সমস্যার মুখে পড়তে না হয়।

প্রসঙ্গত, ২০১৯-এ সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছিল শাহিনবাগ। আন্দোলনকারীরা ৩ মাস ধরে শাহিনবাগে আন্দোলন চালান। যা গোটা বিশ্বের নজর কেড়েছিল। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়লে সেই আন্দোলনস্থল থেকে সরে আসেন বিক্ষুব্ধরা।

Supreme Court Shaheen Bagh Right To Protest
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy