জার্মানির কাসেলের পরে ভারতের গুড়গাঁও। ফের রোবট সহকর্মীর হাতে ‘খুন’ হলেন এক শ্রমিক। ফলে কর্মক্ষেত্রে রোবটের সঙ্গে মানুষের সহাবস্থান কতটা নিরাপদ তা নিয়ে শিল্পমহল-সহ নানা শিবিরে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
গতকাল হরিয়ানার মানেসরের কাছে গাড়ির যন্ত্রাংশ প্রস্তুতকারক সংস্থা এসকেএইচ মেটালের কারখানায় কাজ করছিলেন ৬৩ জন শ্রমিক। সক্রিয় ছিল ৩৯টি রোবটও। কর্তৃপক্ষের দাবি, একটি রোবটের কাজ ছিল লোহার পাত ঝালাই করা। রোবটের ‘হাত’ থেকে একটি বড় লোহার পাত বেরিয়ে ছিল। সেই লোহার পাতটি ঠিক করতে রোবটের খুব কাছে যান বছর চব্বিশের যুবক রামজি লাল। আর তখনই হঠাৎ তাঁর পেটে লোহার পাত ঢুকিয়ে দেয় রোবটটি। রামজি রোবটের খুব কাছে চলে যাওয়ার ফলেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেছেন কর্তৃপক্ষ।
সম্প্রতি র্মানির কাসেল শহরের কাছে ফক্সভাগেন-এর এক কারখানায় ঘটেছিল একই ধরনের ঘটনা। ২১ বছরের এক যুবককে ধাতুর পাতের উপর ফেলে পিষে মেরেছিল ওই কারখানারই এক রোবট। খরচ বাঁচাতে ইদানিং ওষুধ প্রস্তুতকারী বা ইলেকট্রনিক্স সংস্থাগুলোতে বাড়ছে রোবট-কর্মীর সংখ্যা। আর পাল্লা দিয়ে বাড়ছে উৎপাদন। কিন্তু এই ধরনের ঘটনার ফলে রোবটের সঙ্গে কাজ করার ক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
এমনকী, এই ঘটনার কথা বলতে গিয়ে যন্ত্র-মানুষের লড়াই নিয়ে টার্মিনেটর’, ‘ম্যাট্রিক্স’, ‘আই রোবট’ বা ‘রা-ওয়ান’-এর মতো ছবির কথাও বলছেন অনেকে। এমনকী, সত্যজিৎ রায়ের ‘অনুকূল’ ছোটগল্পেও রয়েছে যন্ত্রমানবের হাতে মানুষ খুনের ঘটনা।
তবে মানেসরের ঘটনায় সরাসরি কারখানা কর্তৃপক্ষের দিকে আঙুল তুলছে কারখানার শ্রমিক ইউনিয়ন। ইউনিয়নের সভাপতি কুলদীপ জঙ্গু বলেছেন, ‘‘কর্তৃপক্ষের গাফিলতির জন্যই এটা ঘটেছে। দুর্ঘটনা এড়াতে এত দিন কোনও পদক্ষেপই করা হয়নি। আমরা এর যথাযথ তদন্ত এবং ক্ষতিপূরণ দাবি করছি।’’ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আজ কারখানার অন্য কর্মীরা কাজ বন্ধ রেখেছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে, তারা আপাতত সিসিটিভি ফুটেজ এবং রামজির সহকর্মীদের বয়ানের উপর ভিত্তি করেই তদন্ত শুরু করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy