Advertisement
E-Paper

চিনকে রুখতে স্থলসেনাকে নতুন ‘ভীষ্ম’, নৌসেনা পাবে ডুবোজাহাজ বিধ্বংসী অত্যাধুনিক ‘বরুণাস্ত্র’

রাজনাথ সিংহের নেতৃত্বে ডিএসির ওই বৈঠকে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে উন্নয়নে মোট ৫৪ হাজার কোটি টাকার কর্মসূচি অনুমোদিত হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হল সেনার ব্যবহৃত টি-৯০ ট্যাঙ্কের আধুনিকীকরণ।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২১ মার্চ ২০২৫ ১৩:৩২

গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

সোভিয়েত যুগে তৈরি টি-৭২ (অজেয়) ট্যাঙ্কের পরে এ বার ভারতীয় সেনার ব্যবহৃত রুশ জমানার টি-৯০ (ভীষ্ম)-ও খোলনলচে বদলাচ্ছে। বৃহস্পতিবার প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহের নেতৃত্বাধীন ‘প্রতিরক্ষা সামগ্রী ক্রয় বিষয়ক কমিটি’র (ডিএসি) বৈঠকে ভীষ্মে আরও ক্ষমতাসম্পন্ন ইঞ্জিন বসানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।

ডিএসির ওই বৈঠকে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে উন্নয়নে মোট ৫৪ হাজার কোটি টাকার কর্মসূচি অনুমোদিত হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হল সেনার ব্যবহৃত টি-৯০ ট্যাঙ্কগুলির ১০০০ অশ্বক্ষমতা সম্পন্ন ইঞ্জিন বদলে ১৩৫০ অশ্বক্ষমতা সম্পন্ন ইঞ্জিন বসানো। এর ফলে লাদাখে পাহাড়ঘেরা উঁচু উপত্যকায় চিনা ফৌজের আর্মার্ড ডিভিশনের মোকাবিলা করা অনেক সহজ হয়ে যাবে।

চলতি বছরের গোড়ায় রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তির ভিত্তিতে ৭৮০ অশ্বক্ষমতা সম্পন্ন ইঞ্জিনের বদলে টি-৭২ ট্যাঙ্কে ১০০০ অশ্বক্ষমতা সম্পন্ন ইঞ্জিন বসানোর কাজ শুরু হতে চলেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ কর্মসূচির অংশ হিসাবে রুশ সংস্থা রোসোবোরেনেক্সপোর্টের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ওই ইঞ্জিন নির্মিত হবে ভারতে। সহযোগী হবে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ‘আর্মার্ড ভেহিকল্‌স নিগম লিমিটেড’। চেন্নাইয়ের ‘হেভি ভেহিকল্‌স ফ্যাক্টরি’তে হবে নতুন ইঞ্জিনের নির্মাণ।

টি-৯০ ট্যাঙ্কে নতুন ইঞ্জিনের বরাতও রোসোবোরেনেক্সপোর্ট পেতে পারে বলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের একটি সূত্র জানাচ্ছে। রাজনাথের উপস্থিতিতে ডিএসির বৈঠকে ভারতীয় নৌসেনার হাতে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ডুবোজাহাজ বিধ্বংসী টর্পেডো ‘বরুণাস্ত্র’-র নতুন সংস্করণ তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ভারতীয় প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থার (ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন বা ডিআরডিও) তৈরি ১.২৫ টন ওজনের এই ইলেকট্রিক টর্পেডো ২৫০ কিলোগ্রাম বিস্ফোরক বহন করে নিখুঁত নিশানায় আঘাত হানতে পারে শত্রুর ডুবোজাহাজে।

বরুণাস্ত্রের বেগ ঘণ্টায় ৪০ নটিক্যাল মাইল। অল্প জল এবং গভীর জলে সমান দক্ষ এই টর্পের্ডো ইতিমধ্যেই সীমিত পরিসরে ব্যবহার করছে নৌসেনা। ৫৪ হাজার কোটি টাকার কর্মসূচিতে বায়ুসেনার জন্য দ্রুত দেশীয় প্রযুক্তিতে ‘অ্যাওয়াক্‌স’ (এয়ারবোর্ন আর্লি ওয়ার্নিং অ্যান্ড কন্ট্রোল সিস্টেম) গোত্রের নজরদার বিমান নির্মাণের সিদ্ধান্তও হয়েছে। বর্তমানে লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলএসি) চিনা বিমানবাহিনীর গতিবিধির উপর নজরদারি করতে ইজ়রায়েলে তৈরি ‘হেরন’ ড্রোন এবং ‘ফ্যালকন’ নামের ‘অ্যাওয়াক্‌স’ ব্যবহার করে বায়ুসেনা। দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ‘নেত্র’ নামে ‘অ্যাওয়াক্‌স’ নির্মাণ কর্মসূচি গত কয়েক মাসে অনেকটাই এগিয়েছে বলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের একটি সূত্র জানাচ্ছে।

Defence Acquisition Council Torpedo T-90 T-72 Tank Indian Army Indian Navy IAF DRDO Defence defence budget
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy