E-Paper

বিশ্ব জুড়ে জনমত গড়তে চায় সঙ্ঘ

চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতারির পর থেকেই বাংলাদেশের পরিস্থিতি নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বিষয়টি হাতিয়ার করে পশ্চিমবঙ্গে হিন্দু ভোটের মেরুকরণে তৎপর হয় বিজেপি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৭:৫২
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।

বাংলাদেশে হিন্দুদের নির্যাতন রুখতে বিশ্বে জনমত তৈরির জন্য নরেন্দ্র মোদী সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপের আর্জি জানাল আরএসএস। সংগঠনের বক্তব্য, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় যে ভাবে নিপীড়নের শিকার হচ্ছে, তা উদ্বেগজনক। ধৃত সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের দ্রুত মুক্তির দাবি তুলেছে আরএসএস।

চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতারির পর থেকেই বাংলাদেশের পরিস্থিতি নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বিষয়টি হাতিয়ার করে পশ্চিমবঙ্গে হিন্দু ভোটের মেরুকরণে তৎপর হয় বিজেপি। দলের একাংশ মনে করছে, পশ্চিমবঙ্গে ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে হিন্দু ভোটকে একজোট করার সুযোগ করে দিয়েছে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিপীড়নের ঘটনা। সেই কারণে ধারাবাহিক ভাবে বিষয়টি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ ও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সরব হওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব। আজ আরএসএসের বিবৃতি বিজেপির হাত শক্ত করল বলেই মনে করা হচ্ছে।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক দত্তাত্রেয় হোসবলে বিবৃতিতে বলেন, ‘‘বাংলাদেশে হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘু সমাজের উপরে হামলা চালানো হচ্ছে। বাড়িঘর লুট, অগ্নিসংযোগের ঘটনাও সামনে এসেছে। এই অমানবিক আচরণ অত্যন্ত উদ্বেগজনক।’’ বাংলাদেশ সরকারের কাছে দ্রুত এ ধরনের হামলা বন্ধ করার আর্জি জানানোর পাশাপাশি ভারত সরকারকে হস্তক্ষেপ করার দাবি জানিয়েছেন আরএসএস নেতৃত্ব।

রাজনীতিকদের মতে, বাংলাদেশের পরিস্থিতিতে ভারতের পক্ষে সরাসরি হস্তক্ষেপ করা সম্ভব নয়। বিষয়টি নিয়ে বিশ্ব জুড়ে জনমত তৈরি হলে তবেইএকমাত্র বাংলাদেশ সরকার সংখ্যালঘুদের রক্ষায় এগিয়ে আসতে বাধ্য হবে। সেই কারণে সে বিষয়ে জোর দিয়েছে আরএসএস।

বাংলাদেশের হিন্দু নিগ্রহের ঘটনাকে সামনে রেখে বিজেপি পশ্চিমবঙ্গে হিন্দু মেরুকরণের কৌশল নিয়ে এগোচ্ছে বলে সরব তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূলের অভিযোগ, বাংলাদেশের মতো পরিস্থিতি পশ্চিমবঙ্গেও হতে পারে বলে প্রচার চালাচ্ছে বিজেপি। লক্ষ্য, রাজ্যে সাম্প্রদায়িক অশান্তির বাতাবরণ তৈরি করা। যদিও তৃণমূলের অভিযোগ উড়িয়ে বিজেপির রাজ্যসভা সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘বাংলাদেশে যাঁরা মার খাচ্ছেন, তাঁরাও আমাদের ভাই, আত্মীয়। ধর্মীয় কারণে সংখ্যাগুরুদের হাতে নিপীড়িতদের নিরাপত্তা দেওয়ার দাবি তোলা যদি হিন্দুত্ব হয়, তা হবে।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

PM Narendra Modi Bangladesh RSS

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy