—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
৪৫ দিনের প্রশিক্ষণ। তার পর ‘চাকরি’। বেতন মাসে ২৫ হাজার টাকা। কিন্তু কিসের কাজ? মোবাইল চুরির। দুই ছিনতাইবাজকে গ্রেফতার করে এমনই বিস্ময়কর তথ্য পেল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর রাজ্যের পুলিশ। গুজরাত পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, মোবাইল চুরির ওই চক্র কাজ করত বিভিন্ন রাজ্যে। ভিড়ের মধ্যে থেকে কারও মোবাইল গায়েব করে ভিন্দেশে পাচার করা ওই চক্রের কাজ। দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও তথ্য জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।
গুজরাতের আমদাবাদের পুলিশ জানাচ্ছে, মোবাইল চুরির অভিযোগে যে দুই যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁরা ঝাড়খণ্ডে ঠিকাশ্রমিকের কাজ করতেন। সুরাতে কিছু দিন থাকছিলেন তাঁরা। এক জনের নাম অবিনাশ মাহাতো। বয়স ১৯ বছর। অন্য অভিযুক্তের নাম শ্যাম কুর্মি। তাঁর বয়স ২৬। দু’জনের কাছ থেকে মোট ২৯টি আইফোন এবং ন’টি ওয়ান প্লাস ফোন পেয়েছে পুলিশ।
পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে ধৃতেরা জানিয়েছেন, মোবাইল চুরির পর সেগুলি ‘আনলক’ করে বাংলাদেশ এবং নেপালে পাঠানোর দায়িত্ব ছিল তাঁদের উপর। এই কাজের জন্য মাসিক বেতন পেতেন তাঁরা। ধৃতেরা এ-ও জানিয়েছেন, তাঁদের ৪৫ দিনের মোবাইল চুরির প্রশিক্ষণ হয়। তার পর এই ‘চাকরি’ দেওয়া হয়।
তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, অভিযুক্তদের পরিকল্পনা খুব সহজ। কোনও ভিড়ের মধ্যে দু’জন করে মিশে থাকতেন। এক জনের চোখ থাকে কারও ব্যাগ কিংবা পকেটে। তিনি মোবাইল চুরির সঙ্গে সঙ্গে সেটা হাতবদল করতেন সঙ্গীকে। সেখান থেকে প্রথমে মোবাইল ‘আনলক’ করা হত। তার পর চালান করা হত ভিন্দেশে। আবার এক জন কেউ ধরা পড়লে অন্য সঙ্গী চম্পট দিতেন ঘটনাস্থল থেকে। এই ভাবেই চলত ‘চাকরি’। তবে সুরাত থেকে এক সঙ্গে দু’জনকে পাকড়াও করার পর সামনে এসেছে মোবাইল চুরি নিয়ে নানা তথ্য।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy