ভারত এবং রাশিয়ার মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধিতে ‘কিছু দেশ’ বাগড়া দিচ্ছে। কিন্তু আগামী পাঁচ বছরে সেই সব বাধাকাটিয়ে উঠতে ‘দু’টি দেশই বদ্ধপরিকর’। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ভারতে পা দেওয়ার দু’দিন আগে আজ নয়াদিল্লিতে রাশিয়ার দূতাবাসের প্রেসসচিবদিমিত্রি পেসকভ এ কথা জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, “আমাদের বাণিজ্যের পরিমাণ এবং বিনিময় এমন ভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে, যাতে তা তৃতীয় কোনও রাষ্ট্রের দ্বারা প্রভাবিত না হয়। আমাদের বাণিজ্যিক আদানপ্রদানের প্রায় পুরোটাই নিজেদের জাতীয় মুদ্রায় করা হচ্ছে। এর ফলে আমরা আমাদের বাণিজ্যের সার্বভৌমত্ব ধরে রাখতে পারব।”
কূটনৈতিক শিবিরের মতে, পুতিনের সফরের প্রাক্কালে পেসকভ আজ আমেরিকার নাম না করেবুঝিয়ে দিতে চেয়েছেন, রাশিয়া এবং ভারতের বাড়া ভাতে ছাই দেওয়ার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তুতাকে অগ্রাহ্য করেই দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যকে এগিয়ে নিয়ে যেতেচায় মস্কো।
অন্য দিকে নয়াদিল্লি চাইছে, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে ভারতেরভাগ যাতে বাড়ে, পুতিনেরএ বারের সফরে সেটা নিশ্চিতকরতে। সাউথ ব্লক সূত্রে আজজানানো হয়েছে, বিষয়টিনিয়ে বিশেষ ভাবে সক্রিয়তা বাড়ানো হয়েছে উভয় তরফেই। ভারতের আলু এবং বেদানার জন্য সম্প্রতি রাশিয়ার বাজার খোলা হয়েছে। পাশাপাশি এখানকার বস্ত্র, ওষুধ, চামড়া এবং অন্যান্য কৃষিজাতপণ্যের রফতানি বাড়ানোরদিকে জোর দেওয়া হবে। অন্য দিকে, রাশিয়ার থেকে আমদানি করা সার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্কেরকেন্দ্রে রয়েছে বলে জানিয়েছেসাউথ ব্লক। পাশাপাশি রাশিয়ার সঙ্গে শ্রমিক পাঠানো নিয়ে চুক্তি চুড়ান্ত করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেবিদেশ মন্ত্রক।
পুতিনের ভারত সফর চলাকালীনই ‘এস-৪০০ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম’ কেনার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা।কথা হবে সুখোই ৩০ এমকেআই ফাইটার জেটের আধুনিকীকরণ নিয়েও। তবে মোদী এবং পুতিনের নেতৃত্বাধীন ভারত এবং রাশিয়ার মধ্যে বার্ষিক সম্মেলনে প্রতিরক্ষা নিয়ে আলোচনা এগোলেও কোনওঘোষণা করা হবে না বলে জানিয়েছে দিল্লির সূত্র।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)