বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। —ফাইল চিত্র।
ভারতের সভাপতিত্বে জি-২০ গোষ্ঠীর শীর্ষ বৈঠক দরজায় টোকা মারছে নয়াদিল্লির। আন্তর্জাতিক স্তরে দেশের ভাবমুর্তি নির্মাণে এখন তুলির শেষ টানটি দিচ্ছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। সেই সঙ্গে চলছে পুরনো শাসনকালকে খর্ব করার প্রয়াসও। আজ এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, "আজ আমরা ভিন্ন এক কালখণ্ডে রয়েছি। যেখানে আমরা অনেক দক্ষ, আত্মবিশ্বাসী, অনেক উচ্চাকাঙ্ক্ষী। মনে করি যে, আজ আমরা বড় পার্থক্য তৈরি করে দিতে সক্ষম। এই সময়টা অনেক বেশি বিশ্বায়িতও বটে। চ্যলেঞ্জগুলোও ভিন্ন, দক্ষতা অন্য রকম, লক্ষ্যও বদলে গিয়েছে।"
দেশের অর্থনীতির বদলের সঙ্গে সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যে বিদেশনীতিরও উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এনেছেন, সে কথা উল্লেখ করেছেন জয়শঙ্কর। তাঁর মতে, এই দুই নীতি একে অন্যের সঙ্গে অচ্ছেদ্য ভাবে জড়িয়ে। বিদেশমন্ত্রীর বক্তব্য, আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারতের ভূমিকা সম্পর্কে সম্যক ধারণা রয়েছে মোদীর। তাঁর নেতৃত্বেই চোখে পড়ার মতো বদল এসেছে ভারতের নীতিতে।
জয়শঙ্কর বলেন, ‘‘আমরা এখন অনেক বেশি সক্রিয়। আগের থেকে অনেক বেশি করে বিশ্বের নজর পড়েছে ভারতের উপর। এই সময়ের বড় বড় বিষয় এবং ধারণাগুলি আমরা তৈরি করছি। একই সঙ্গে আমরা আন্তর্জাতিক এবং জাতীয়তাবাদী। বিশ্বের সঙ্গে আমাদের
আদানপ্রদান বেড়ে গিয়েছে, কিন্তু তা করা হচ্ছে দেশের জাতীয় স্বার্থের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে। এ সেই আগের সময় নয়, যখন কিছু আদর্শগত কারণের দোহাই দিয়ে ভারত নিজের
স্বার্থকে কিছু দেশের কাছে
বিসর্জন দিত।’’
আদর্শগত কারণের কথা বলতে গিয়ে বিদেশমন্ত্রীর অভিমত, স্বাধীনতার সময় জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের প্রয়োজন ছিল ঠিকই। দেশের বিদেশনীতির একটি উল্লেখযোগ্য সময় হিসাবে জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের গুরুত্ব রয়েছে। কিন্তু তার সীমাবদ্ধতাও রয়েছে বলে মনে করেন বিদেশমন্ত্রী। তাঁর বক্তব্য, "সে সময় আমাদর ক্ষমতা অনেক কম ছিল, অনেক ক্ষেত্রেই জাতীয় স্বার্থকে সামনে রাখা হয়নি। ফলে যে সব লাভ পাওয়ার কথা ছিল, তা পাওয়া যায়নি। তবে সে সব এখন অতীত।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy