দিল্লি বিস্ফোরণ-কাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছেন বেশ কয়েক জন চিকিৎসক। সেই তদন্ত প্রক্রিয়াতেই কাশ্মীরের হাসপাতালগুলিতে স্বাস্থ্যকর্মীদের লকারে তল্লাশি শুরু হয়েছে। ক্যামেরা সঙ্গী করে হাসপাতালগুলিতে পৌঁছচ্ছে পুলিশ। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ চিকিৎসকদের একাংশ।
তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, অনন্তনাগের সরকারি মেডিক্যাল কলেজে জঙ্গি কার্যকলাপে অভিযুক্ত চিকিৎসক আদিল আহমেদ রাঠেরের নামে বরাদ্দ লকার থেকে একটি রাইফেল মিলেছিল। সে হাসপাতালের চাকরি ছাড়লেও যোগাযোগ রেখে চলছিল। এখন প্রতিটি লকারে তল্লাশি না হওয়া পর্যন্ত অভিযান শেষ হবে না বলে তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন। তাঁদের দাবি, হাসপাতালগুলির কর্তৃপক্ষের সম্পূর্ণ সহযোগিতা মিলছে। এক পুলিশকর্তা বলেন, ‘‘উপত্যকার প্রায় প্রতি হাসপাতালেই তল্লাশি চলেছে। এই পর্ব হয়তো দ্রুত শেষ হবে। তবে আচমকা তল্লাশির সম্ভাবনা থাকবে।’’
তল্লাশি অভিযানে অন্য কোনও হাসপাতাল থেকে অস্ত্র মেলেনি। পুলিশের একাংশের বক্তব্য, নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে তল্লাশি চালালে হয়তো ভাল হত। শ্রীনগরের হাসপাতালের এক চিকিৎসকের মন্তব্য, ‘‘নিরাপত্তার বিষয়টা আমরা বুঝতে পারছি। তবে এ সব সমাজমাধ্যমে ছড়াচ্ছে কেন? এতে কী বার্তা যাচ্ছে? সব চিকিৎসকই সন্দেহভাজন?’’ মহিলা চিকিৎসকেরা গোপনীয়তায় হস্তক্ষেপের প্রশ্নও তুলেছেন। পুলওয়ামার জেলা হাসপাতালের সুপার আবদুল গনি দার জানান, যে লকারগুলি বহু দিন খোলা হয়নি, সেগুলি পুলিশকে খুলতে বলেছেন তাঁরা। স্বাস্থ্য বিভাগও হাসপাতালগুলিকে এই মর্মে নির্দেশ দিয়েছে। তবে দারের কথায়, ‘‘লকার খোলা হলেও সেখানে ওষুধ আর এপ্রন ছাড়া কিছুই মেলেনি।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)