আবার নিরাপত্তার বেষ্টনী ভেঙে সংসদ চত্বরে ঢুকে পড়লেন এক যুবক। যদিও নিরাপত্তারক্ষীদের নজরে আসতেই তাঁকে আটক করা হয়। সূত্রের খবর, ওই যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ঘটনাচক্রে, দু’বছর আগে ২০২৩ সালের ১৩ ডিসেম্বর ‘রং বোমা’ নিয়ে সংসদের গ্যালারিতে ঢুকে পড়েছিলেন দু’জন। সেই ঘটনার পর সংসদ এবং সাংসদদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। সেই ঘটনার স্মৃতি উস্কে আবার সংসদ ভবনের পাঁচিল টপকে অজ্ঞাতপরিচয় এক যুবক ঢুকে পড়ায় নিরাপত্তাকে প্রশ্নের মুখে ঠেলে দিল।
সূত্রের খবর, শুক্রবার সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ গাছ বেয়ে সংসদের পাঁচিলে উঠে পড়েন এক যুবক। সংসদের রেল ভবনের দিকে থাকা পাঁচিল টপকে সোজা নতুন সংসদ ভবনের গরুড় গেটের কাছে পৌঁছে যান। নিরাপত্তারক্ষীদের নজরে পড়তেই ওই যুবককে ধরে ফেলেন তাঁরা। ঘটনাচক্রে, বৃহস্পতিবারই শেষ হয়েছে সংসদের বাদল অধিবেশন। শুক্রবারের এই ঘটনার পর ইতিমধ্যেই নিরাপত্তার পরিস্থিতি নিয়ে আবার প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
গত বছরেও ঠিক একই ভাবে এক যুবক সংসদের দেওয়াল টপকে, নিরাপত্তারক্ষীদের নজর এড়িয়ে সংসদ চত্বরে ঢুকে পড়েছিলেন। যদিও তৎপরতার সঙ্গে ওই যুবককে গ্রেফতার করে সিআইএসএফ জওয়ানেরা। এর আগেও ২০২৩ সালে সাগর শর্মা এবং মনোরঞ্জন ডি নামে দুই ব্যক্তি লোকসভার গ্যালারি থেকে চেম্বারের ভিতরে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। ‘তানাশাহি নেহি চলেগি’ স্লোগান দিতে দিতে ‘রং বোমা’ নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন ওই দু’জন। সংসদ ভবনের ভিতরে হলুদ রঙের ধোঁয়া আর গ্যাসে ছেয়ে গিয়েছিল। এক বেঞ্চ থেকে অন্য বেঞ্চে লাফিয়ে লাফিয়ে চিৎকার করে স্লোগানও দিতে শুরু করেন তাঁরা। কিছু ক্ষণের মধ্যেই তাঁদের আটক করা হয়। প্রশ্ন ওঠে সংসদের নিরাপত্তা নিয়েও। ধরা পড়েন অমল শিন্ডে, মনোরঞ্জন ডি, সাগর শর্মা, নীলম আজ়াদ, ললিত ঝা এবং মহেশ কুমাওয়াত।