জম্মু ও কাশ্মীরের সমস্ত জেলে নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা হয়েছে। শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্স (সিআইএসএফ)-এর ডিজি। তার পরেই জেলগুলিতে বাড়তি নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। সূত্রের খবর, জেলে জঙ্গি হামলার আশঙ্কা করা হচ্ছে। সেই অনুযায়ী প্রস্তুতি নিচ্ছে প্রশাসন।
গোয়েন্দা সূত্রে খবর, কাশ্মীরের একাধিক জেলে জঙ্গি হামলার সম্ভাবনা রয়েছে। শ্রীনগর সেন্ট্রাল জেল, জম্মুর কোট বালওয়াল জেলে অনেক জঙ্গি বা তাদের সহায়তাকারী বন্দি আছে, যারা কাশ্মীরের পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে ‘ওজনদার’। এমনিতেই তাদের জন্য জেলে বাড়তি নিরাপত্তা থাকে। অনেকের মতে, জেলে কোনও হামলা হলে তার অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য হতে পারে এই জঙ্গিদের মুক্ত করা। ফলে শ্রীনগর এবং জম্মুর জেলগুলি জঙ্গিদের নিশানা হতে পারে। তাই আগেভাগে তৈরি হচ্ছেন কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন:
পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার ঘটনার তদন্ত করছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। সেই তদন্তের সূত্রে কিছু দিন আগে এনআইএ-র আধিকারিকেরা জেলে গিয়ে দু’জন কয়েদিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন। নিসর এবং মুস্তাক নামের ওই দু’জন ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে জেলে আছেন। রাজৌরিতে জঙ্গি হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত তাঁরা। পহেলগাঁওয়ের ঘটনার সঙ্গেও তাঁদের যোগ ছিল বলে অনুমান তদন্তকারীদের। অভিযোগ, পহেলগাঁওয়ে হামলার বিষয়ে আগে থেকে মুস্তাকদের কাছে খবর ছিল। সেই সূত্রে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে এনআইএ।
জম্মু ও কাশ্মীরের সমস্ত জেলের নিরাপত্তার দায়িত্বে আগে ছিল সিআরপিএফ। ২০২৩ সালের অক্টোবর মাস থেকে এই দায়িত্ব পায় সিআইএসএফ। রবিবার সিআইএসএফের ডিজি শ্রীনগরে নিরাপত্তা আধিকারিকদের সঙ্গে জরুরি ভিত্তিতে বৈঠক করেছেন। তবে কেন জেলে জেলে নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা হল, প্রকাশ্যে তা নিয়ে কেউ কোনও মন্তব্য করেননি।
গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখনও পর্যন্ত হামলাকারীদের কাউকে ধরা যায়নি। কাশ্মীরের আনাচেকানাচে চিরুনিতল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ এবং নিরাপত্তাবাহিনী। কয়েকটি সূত্রে দাবি, জঙ্গিরা এখনও দক্ষিণ কাশ্মীরে লুকিয়ে আছে। আবার কেউ কেউ বলছেন, কাশ্মীর ছেড়ে অন্যত্র চলে গিয়েছে তারা। সীমান্ত পেরিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও অস্বীকার করা যাচ্ছে না।