উদ্বোধনের একমাসও পেরোয়নি! এর মধ্যেই বিপত্তি ঘটে গেল কেরলের চিড়িয়াখানায়। পথকুকুরের হামলায় মৃত্যু হল অন্তত ১০টি হরিণের। সম্প্রতি কেরলের ত্রিশূরে নবনির্মিত পুথুর চিড়িয়াখানায় ঘটনাটি ঘটেছে। খবর প্রকাশ্যে আসতেই হুলস্থুল পড়ে গিয়েছে।
সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি-র একটি প্রতিবেদন সূত্রে জানা গিয়েছে, গত এক মাসে পুথুর চিড়িয়াখানায় পথকুকুরের আক্রমণে অন্তত ১০টি হরিণের মৃত্যু হয়েছে। খবর পেয়ে মঙ্গলবার বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ অরুণ জাকারিয়ার নেতৃত্বে একটি দল চিড়িয়াখানায় পৌঁছেছে। গোটা এলাকা পরিদর্শনের পাশাপাশি বিস্তারিত তদন্তও শুরু করেছে তারা। তদন্তকারী দলের এক কর্তা জানিয়েছেন, মৃত হরিণগুলির দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট হাতে এলে মৃত্যুর সঠিক কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে। তবে চিড়িয়াখানার ডিরেক্টর নাগরাজ এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি।
আরও পড়ুন:
গত ২৮শে অক্টোবর কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন পুথুর চিড়িয়াখানা উদ্বোধন করেন। ত্রিশূরের ৩৩৬ একর জমি জুড়ে বিস্তৃত এই নবনির্মিত চিড়িয়াখানা এশিয়ার মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম। শুধু তা-ই নয়, ভারতের প্রথম ‘ডিজ়াইনার চিড়িয়াখানা’ হিসাবেও নাম কিনে নিয়েছে পুথুর। সম্প্রতি পুথুরে দর্শকদের জন্য অগ্রিম রেজিস্ট্রেশনের ব্যবস্থাও শুরু হয়েছে। আপাতত কেবলমাত্র স্কুল-কলেজের পড়ুয়াদের চিড়িয়াখানায় প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। জনসাধারণের জন্য চিড়িয়াখানার দরজা কবে উন্মুক্ত হবে, তা এখনও ঘোষণা করা হয়নি। এ বার এ হেন চিড়িয়াখানাতেই ঘটল বিপত্তি।
পথকুকুর নিয়ে দেশ জুড়ে বিতর্কের আবহে সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, স্কুল, রেলস্টেশন, হাসপাতাল চত্বর থেকে পথকুকুরদের সরাতে হবে। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল এবং রাজ্যগুলিকে এমনই নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। বিচারপতি বিক্রম নাথ, বিচারপতি সন্দীপ মেহতা, বিচারপতি এনভি আঞ্জারিয়ার বেঞ্চের নির্দেশ, নির্বীজকরণের জন্য পথকুকুরদের যে সব এলাকা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, সেখানে আর তাদের ফেরানো চলবে না। আদালতের নির্দেশে নির্বীজকরণের পর পথকুকুরদের ঠাঁই হবে সরকারি আশ্রয়কেন্দ্রেই। তার মধ্যে পুথুরের চি়ড়িয়াখানায় পথকুকুরের হামলায় হরিণের মৃত্যুর ঘটনা প্রকাশ্যে আসায় নানা মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।