এক উঠতি হকি খেলোয়াড়কে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল কোচ এবং তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে ওড়িশার জজপুর জেলায়। ১৫ বছর বয়সি ওই কিশোরী স্থানীয় এক স্টেডিয়ামে প্রশিক্ষণ শেষে বাড়ি ফেরার সময় অভিযুক্তেরা তাকে অপহরণ করেন বলে অভিযোগ। এর পরে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় এক হোটেলে। অভিযোগ, সেখানেই গণধর্ষণ করা হয়েছে নাবালিকাকে। ঘটনায় ইতিমধ্যে অভিযুক্ত দুই কোচ-সহ চার জনকে আটক করেছে পুলিশ।
সম্প্রতি ওড়িশার বালেশ্বরের এক কলেজে ছাত্রীকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ ওঠে কলেজেরই এক বিভাগীয় প্রধানের বিরুদ্ধে। ওই ঘটনায় নিজের গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা করেন ছাত্রী। তার পরে পুরীতে এক নাবালিকার গায়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে একদল দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। প্রায় ৭৫ শতাংশ দগ্ধ অবস্থায় ওই কিশোরী এখনও দিল্লি এমসে চিকিৎসাধীন। ওই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এ বার এক হকি খেলোয়াড়কে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল ওড়িশায়।
পুলিশ সূত্রে খবর, জজপুর জেলার ওই প্রশিক্ষণ শিবিরে গত দু’বছর ধরে হকি প্রশিক্ষণ নিচ্ছিল কিশোরী। গত ৩ জুলাই সন্ধ্যায় স্টেডিয়ামে প্রশিক্ষণ শেষে বাড়ি ফিরছিল। তখনই মাঝরাস্তা থেকে তাকে জোর করে তুলে নিয়ে যান অভিযুক্তেরা। তাঁদের প্রত্যেকেরই বয়স ৩০-এর কোঠায়। কিশোরীকে স্থানীয় একটি হোটেলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। ওই উঠতি হকি খেলোয়াড় বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তার প্রাণনাশেরও হুমকি দেওয়া হয়। এমনকি পরিবারের কাউকে ঘটনার কথা না জানানোর জন্যও বিভিন্ন ভাবে ভয় দেখানো হয় বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন:
সম্প্রতি ওই নির্যাতিতা থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করে। তার পরেই ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসে। গত রবিবার নাবালিকার অভিযোগের ভিত্তিতে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৭০(২) ধারায় গণধর্ষণের অভিযোগ-সহ অন্য ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। নির্যাতিতার বয়ানও রেকর্ড করা হয়েছে। শীঘ্রই তার ‘মেডিক্যাল টেস্ট’ (অভিযোগ সংক্রান্ত স্বাস্থ্য পরীক্ষা) করানো হবে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।
জেলার এক পকসো (শিশুদের উপর অপরাধ সংক্রান্ত আইন) আদালতে মহিলা বিচারকের সামনে গোপন জবানবন্দি দিয়েছে নির্যাতিতা। ঘটনায় ইতিমধ্যে অভিযুক্ত দুই কোচ-সহ চার জনকে আটক করা হয়েছে। জজপুরের পুলিশ সুপার যশপ্রতাপ শারিমল বলেন, “নির্যাতিতার অভিযোগ পাওয়ার পরেই পুলিশের একটি বিশেষ দল গঠন করা হয় তদন্তের জন্য। ঘটনায় চার জনকে আটকও করা হয়েছে। তাদের জেরা করা হচ্ছে। এর পরে আইনানুগ পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।”