ছত্তীসগঢ়ের জঙ্গলে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হল চার মাওবাদীর। শনিবার সন্ধ্যায় বিজাপুরের দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্তের জঙ্গলে মাওবাদী দমন অভিযান চালাচ্ছিল নিরাপত্তা বাহিনী। সেই অভিযানেই চার মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছে বলে সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর। নিহত মাওবাদীদের নাম-পরিচয় এখনও প্রকাশ্যে আসেনি।
বিজাপুরের ওই জঙ্গল এলাকায় মাওবাদীদের গতিবিধি দেখা গিয়েছে বলে আগে থেকেই গোপন সূত্রে খবর ছিল নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে। সেই সূত্র ধরেই শনিবার রাতে অভিযান চালানো হয় বলে জানিয়েছেন ছত্তীসগঢ়ের বস্তারের আইজি পি সুন্দররাজ। সংঘর্ষ শুরুর পর থেকে এখনও পর্যন্ত চার জন মাওবাদীর দেহ উদ্ধার হয়েছে। ইতিমধ্যে ইনসাস এবং এসএলআর রাইফেল-সহ বেশ কিছু আগ্নেয়াস্ত্রও উদ্ধার হয়েছে। বস্তারের আইজি জানিয়েছেন, জঙ্গলে দু’পক্ষের মধ্যে এখনও গুলির লড়াই চলছে।
এই নিয়ে চলতি বছরে ছত্তীসগঢ়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ২২৫ জন মাওবাদীর মৃত্যু হল। তার মধ্যে শুধু বস্তার ডিভিশনেই ২০৮ জন মাওবাদী নিহত হয়েছেন। বস্তার ডিভিশনের ছত্তীসগঢ়ের সাতটি জেলা রয়েছে। এর মধ্যে বিজাপুর, বস্তার, সুকমা এবং দান্তেওয়াড়া জেলায় প্রায়শই মাওবাদী গতিবিধির খবর মেলে। নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে মাঝে মধ্যেই মাওবাদীদের সংঘর্ষ লেগে থাকে এই জেলাগুলিতে।
আরও পড়ুন:
শুক্রবারই সুকমা জেলা থেকে চার জন মাওবাদীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের কাছ থেকে একটি টিফিনবাক্স-বোমা এবং বেশ কিছু নথি উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, সুকমায় আইইডি বিস্ফোরণ করে নিরাপত্তা বাহিনীর শিবির উড়িয়ে দেওয়ার ছক কষেছিল তারা। বস্তুত, আগামী বছরের ৩২ মার্চের মধ্যে দেশ থেকে মাওবাদ নির্মূল করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এ অবস্থায় বস্তার ডিভিশনের জেলাগুলিতে ধারাবাহিক ভাবে অভিযান চালাচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনী। তাতে সংগঠনের শীর্ষস্তরের নেতা-নেত্রী-সহ দুই শতাধিক মাওবাদী নিহত হয়েছেন। আত্মসমর্পওণ করেছেন হাজারের বেশি মাওবাদী।