লন্ডনে মহাত্মা গান্ধীর মূর্তিতে হামলা। মূর্তির নীচে লেখা আপত্তিকর মন্তব্য। এই ঘটনাকে ‘লজ্জাজনক’ বলে অভিহিত করে বিবৃতি দিয়েছে ব্রিটেনের ভারতীয় দূতাবাস। এই হামলাকে মহাত্মার অহিংস ভাবাদর্শের উপর আঘাত বলেও মনে করছে নয়াদিল্লি।
লন্ডনের টাভিস্টক স্কোয়ারে গান্ধীর একটি কালো পাথরের মূর্তি রয়েছে। হাঁটু মুড়ে বসে রয়েছেন গান্ধী। হঠাৎই কেউ কেউ লক্ষ করেন, যে বেদীর উপর মূর্তিটি প্রতিষ্ঠিত, সেই বেদীতে আপত্তিকর কিছু মন্তব্য লেখা হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে ভারতীয় দূতাবাসের তরফে বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনকে জানানো হয়। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, আগামী বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) ওই মূর্তির সামনে গান্ধীজয়ন্তীর অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল। এই পরিস্থিতিতে সেখানে অনুষ্ঠান করা যাবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
এই ঘটনায় লন্ডনের ভারতীয় দূতাবাসের তরফে সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট করে জানানো হয়েছে, তারা গান্ধীমূর্তিতে হামলার এই লজ্জাজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে। সমাজমাধ্যমের পোস্টে লেখা হয়েছে, “এটা নিছক কোনও হামলার ঘটনা নয়, এটা অহিংস আদর্শের উপর আঘাত।” ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে গিয়েছেন দূতাবাসের প্রতিনিধিরা। কী ভাবে মূর্তিটিকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে এই ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসনকে কঠোর পদক্ষেপ করার আর্জি জানিয়েছে ভারতীয় দূতাবাস। স্থানীয় পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।
ইন্ডিয়ান লিগের সহায়তায় ১৯৬৮ সালে ব্রোঞ্জের ওই গান্ধীমূর্তিটি তৈরি করা হয়েছিল। গান্ধী নিকটবর্তী ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের আইনের পড়ুয়া ছিলেন। সে কথা স্মরণে রাখতেই টাভিস্টক স্কোয়ারে মূর্তিটি তৈরি করা হয়। মূর্তির নীচে খোদাই করা আছে গান্ধীর জন্ম এবং মৃত্যুসাল।