Advertisement
E-Paper

নিখোঁজ সন্তানদের পেতে ফের অনশনে

পুলিশের বক্তব্য, সোমবালা প্রথমে বিভ্রান্তিকর কথা বলছিলেন। মুশকিল হয় তাতেই।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ জানুয়ারি ২০২০ ০১:৩২
শহিদ ক্ষুদিরামের মূর্তির পাদদেশেই অনশনে শিলচরের দম্পতি। ছবি: সংগৃহীত।

শহিদ ক্ষুদিরামের মূর্তির পাদদেশেই অনশনে শিলচরের দম্পতি। ছবি: সংগৃহীত।

মায়ের সঙ্গে বেরিয়ে গত ৯ জুন নিখোঁজ হয় ভাইবোন সৌরভ-সুপ্রিয়া। এখনও তাদের হদিস মেলেনি। সন্তানদের উদ্ধারের দাবিতে সোমবার অনশনে বসেন শিলচর আশ্রম রোডের সোনধন দাস ও সোমবালা দাস। জানান, ছেলেমেয়েদের খুঁজে না পেলে শহিদ ক্ষুদিরামের মূর্তির পাদদেশেই মৃত্যুবরণ করবেন। পরে স্বাস্থ্যের অবনতি হওয়ায় পুলিশ কার্যত টানাহেঁচড়া করে তুলে নিয়ে যায় তাঁদের। দু’জনকে শিলচর সিভিল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। এর আগে গত ৬ নভেম্বরও এই দম্পতি অনশনে বসেছিলেন। পুলিশ-কর্তারা ২০ দিনে খুঁজে বার করার আশ্বাস দিলে সে যাত্রা অনশন প্রত্যাহার করে নেন তাঁরা। আজও খুঁজে পাওয়া যায়নি ভাইবোনকে।

পুলিশের বক্তব্য, সোমবালা প্রথমে বিভ্রান্তিকর কথা বলছিলেন। মুশকিল হয় তাতেই। স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করে রাতে ছেলেমেয়েদের নিয়ে বেরিয়ে যান তিনি। পর দিন তাঁর খোঁজ মেলে। এক বার বলেন, ছেলেমেয়ের নদীতে ভাসিয়ে দিয়েছেন। পুলিশ তাই তাঁকেই গ্রেফতার করে জেলে পাঠায়। দেহের খোঁজ চলতে থাকে। পরে জেল থেকে বেরিয়ে স্বামী-স্ত্রী মিলে সন্তানদের উদ্ধারের দাবি করন। সোমবালা এখন বলছেন, ৯ জুন তিনি ননদের বাড়ি যাবেন বলে গাড়ির জন্য সৌরভ-সুপ্রিয়াকে নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন। একটি দামি গাড়ি তাঁদের তুলে নেয়। কিছু দূর যেতেই পেছনে বসা এক জন তাঁর নাকে রুমাল চেপে ধরে। গভীর রাতে জ্ঞান ফিরলে দেখেন, রাস্তায় পড়ে আছেন। পুলিশের বক্তব্য, শুরুতেই এ সব জানালে, তদন্ত সেই অনুযায়ী এগোত।

Hunger Strike Silchar
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy