এইচআইভি আক্রান্ত ভাইকে খুন করলেন দিদি ও ভগ্নিপতি! সম্প্রতি কর্নাটকের চিত্রদুর্গ জেলায় ঘটনাটি ঘটেছে। অভিযুক্ত দিদিকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে ভগ্নিপতি এখনও পলাতক।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহতের নাম মল্লিকার্জুন। ২৩ বছর বয়সি ওই তরুণ চিত্রদুর্গ জেলার দুম্মি গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। সম্প্রতি জানা যায়, মল্লিকার্জুন এইচআইভিতে আক্রান্ত। অভিযোগ, এর পরেই বিষয়টি জানাজানি হলে পরিবারের ‘সম্মানহানি’ হবে, এই আশঙ্কায় ভাইকে খুনের পরিকল্পনা করেন দিদি নিশা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মল্লিকার্জুন বেঙ্গালুরুর একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতেন। তবে প্রায়ই পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গ্রামের বাড়িতে যেতেন তিনি। গত ২৩ জুলাই এক বন্ধুর গাড়িতে করে গ্রামে যাওয়ার সময় তাঁদের গাড়ির সঙ্গে একটি ট্রাকের সংঘর্ষ হয়। এতে মল্লিকার্জুন গুরুতর আহত হন। জখম হন তাঁর বন্ধুরাও। দ্রুত তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানেই অস্ত্রোপচারের আগে রক্তপরীক্ষায় জানা যায়, মল্লিকার্জুন এইচআইভি আক্রান্ত!
আরও পড়ুন:
পরিবারকে তা জানানো হলে দিদি নিশাই ভাইকে বেঙ্গালুরুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। সেইমতো গত ২৫ জুলাই সন্ধ্যায় নিশা বাবা-মাকে জানান, তিনি ও তাঁর স্বামী মল্লিকার্জুনকে বেঙ্গালুরুতে নিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু পরে ভাইয়ের মৃতদেহ নিয়ে ফিরে আসেন দু’জনে। জানান, পথেই মৃত্যু হয়েছে ভাইয়ের।
মেয়ে-জামাইয়ের কথা শুনে সন্দেহ হওয়ায় বাবা-মা তাঁদের চেপে ধরতেই নিশা স্বীকার করেন, তাঁরা ভেবেছিলেন ভাইয়ের এইচআইভি আক্রান্ত হওয়ার খবর জানাজানি হলে পরিবারের সম্মানহানি হবে। তাঁদের আরও আশঙ্কা ছিল, ভাইয়ের থেকে বাবা-মায়ের শরীরেও সংক্রামিত হতে পারে মারণরোগ। এ সব ভেবে তাঁরাই মল্লিকার্জুনকে কম্বল চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করেন!
সব জানার পর বাবা-মা নিজেই মেয়ে-জামাইয়ের বিরুদ্ধে হোলালকেরে থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনায় মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। নিশাকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁর স্বামীরও খোঁজ চলছে।