Advertisement
E-Paper

চন্দনদস্যু বীরাপ্পন-কন্যার রাজনীতিতে অভিষেক, যোগ দিলেন বিজেপিতে

বিদ্যা পেশায় আইনজীবী। তবে একই সঙ্গে বেশ কিছু সমাজকল্যাণমূলক কাজের সঙ্গেও যুক্ত দীর্ঘদিন ধরেই।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৫:১৬
বিজেপিতে যোগ দেওয়ার মঞ্চে বীরাপ্পন কন্যা বিদ্যা (ইনসেটে বীরাপ্পন)। ছবি: টুইটার থেকে

বিজেপিতে যোগ দেওয়ার মঞ্চে বীরাপ্পন কন্যা বিদ্যা (ইনসেটে বীরাপ্পন)। ছবি: টুইটার থেকে

এক সময় তাঁর দাপটে কাঁপত গোটা এলাকা। জঙ্গলে তিনিই ছিলেন শেষ কথা। সেই চন্দনদস্যু বীরাপ্পনের বড় মেয়ে বিদ্যা রানি যোগ দিলেন বিজেপিতে। শনিবার কৃষ্ণগিরিতে একটি দলীয় কর্মসূচিতে আনুষ্ঠানিক ভাবে যোগ দেন বিদ্যা। বাবাও মানুষের জন্য কাজ করতেই চেয়েছিলেন, শুধু পথটা অন্য ছিল — রাজনৈতিক অভিষেকের পর বলেন বীরাপ্পন কন্যা বিদ্যা।

বিদ্যা পেশায় আইনজীবী। তবে একই সঙ্গে বেশ কিছু সমাজকল্যাণমূলক কাজের সঙ্গেও যুক্ত দীর্ঘদিন ধরেই। বছরখানেক ধরে কৃষ্ণগিরিতে একটি টিউশন সেন্টার চালান। সেখানে গরীব পড়ুয়াদের প্রায় বিনা পয়সায় পড়ানোর ব্যবস্থা করেছেন তিনি। সেই সূত্রেই প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পন রাধাকৃষ্ণনের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ হয়। তার পর থেকেই বিদ্যার রাজনীতিতে আসার জল্পনা চলছিল বেশ কিছু দিন ধরেই।

শেষ পর্যন্ত শনিবার কৃষ্ণগিরিতে একটি অনুষ্ঠানে বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক মুরলীধর রাও এবং প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পন রাধাকৃষ্ণনের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিক ভাবে গেরুয়া পতাকা হাতে নিলেন বিদ্যা। অনুষ্ঠানে অন্যান্য দল থেকে আরও প্রায় ১০০০ নেতা-কর্মী বিজেপিতে যোগ দেন।

দলে যোগ দেওয়ার পর সংবাদ মাধ্যমে তিনি বলেন, ‘‘জাতি, ধর্ম নির্বিশেষে গরীব ও পিছিয়ে পড়া মানুষের জন্য কাজ করতে চাই। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জনকল্যাণমুখী প্রকল্পগুলি সাধারণ মানুষের কাছে আরও বেশি করে পৌঁছে দিতে চাই।’’

আরও পডু়ন: ট্রাম্পের সফরের আগেই বিপত্তি, হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল মোতেরা স্টেডিয়ামের দু’টি অস্থায়ী তোড়ন

স্বাভাবিক ভাবেই তাঁর বাবা বীরাপ্পনের প্রসঙ্গও ওঠে। বিদ্যা বলেন, ‘‘বাবাও সমাজসেবা, পিছিয়ে পড়া মানুষদের জন্য কাজ করেছেন। তবে তিনি যে পথে তিনি করেছেন, সেটা ঠিক ছিল না।’’

গত শতাব্দীর আটের দশক থেকে শুরু করে প্রায় দু’দশক ধরে তামিলনাড়ু-কর্নাটক সীমানার জঙ্গলে কার্যত ‘রাজ’ করেছেন কুসি মুনিস্বামী বীরাপ্পন ওরফে বীরাপ্পন। চন্দন কাঠ ও হাতির দাঁত পাচার, নেতা-অভিনেতাদের অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের মতো গুরুতর অভিযোগ ছিল তাঁর বিরুদ্ধে। সেই সূত্রেই ‘চন্দনদস্যু’ নামে পরিচিত হন। তবে অন্য দিকে গরীবের ‘মসিহা’ বা রবিনহুড ইমেজও ছিল অনেক নিম্নবিত্ত মানুষের কাছে। ২০০৪ সালের ১৮ অক্টোবর তামিলনাড়ু পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের অভিযানে দুই সঙ্গীর সঙ্গে গুলিতে নিহত হন বীরাপ্পন।

আরও পডু়ন: পাক প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ নিয়ে অস্বস্তির মুখে শত্রুঘ্ন সিন্‌হা

এ হেন ‘চন্দনদস্যু’ বীরাপ্পনের মেয়ে বিদ্যার রাজনীতিতে পদার্পণ এবং বিজেপিতে যোগ দেওয়া তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক শিবির। বিশেষ করে দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে বিজেপির যেখানে কার্যত কোনও সাংগঠনিক ভিত্তি নেই, বিদ্যার যোগদান সেই কারণেও রাজনৈতিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ। রাজ্য বিজেপি নেতাদের বক্তব্য, ‘‘ওঁর (বিদ্যা) প্রতিভাকে আমরা কাজে লাগাব। দলে ওঁর পদমর্যাদা কী হবে, তা পরে ঠিক করা হবে।’’

Veerappan BJP
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy