দিল্লির অ্যাসিড হামলার ঘটনার তদন্তে নেমে বেশ কিছু অসঙ্গতির খোঁজ পাচ্ছেন তদন্তকারীরা। এখনও পর্যন্ত যা যা তথ্য পুলিশের হাতে এসেছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেই সূত্রের খবর। শুধু তা-ই নয়, আক্রান্ত তরুণীর বয়ানকে আতশকাচের নীচে রেখে যাচাই করছেন তদন্তকারীরা।
রবিবার উত্তর-পশ্চিম দিল্লির অশোক বিহারে এক কলেজপড়ুয়ার উপর অ্যাসিড হামলার ঘটনা ঘটে। ২০ বছর বয়সি ওই তরুণী কলেজের নিয়মিত পড়ুয়া ছিলেন না। তাই রবিবার সকালে অতিরিক্ত ক্লাসের জন্য কলেজের দিকে যাচ্ছিলেন তিনি। রিকশায় চেপে কলেজ যাচ্ছিলেন বলে পুলিশকে জানিয়েছেন ওই তরুণী। তবে ২০০ মিটার যাওয়ার পরে তিনি রিকশা থেকে নেমে পড়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে। অভিযোগ, সেই সময়ই বাইকে চেপে এসে তিন যুবক তাঁর পথ আটকান। তাঁদের মধ্যে এক জন অপর জনের হাতে অ্যাসিডের বোতল তুলে দেন। পর ক্ষণেই তরুণীর গায়ে অ্যাসিড ছুড়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান অভিযুক্তেরা।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, কেন ২০০ মিটার যাওয়ার পর রিকশা থেকে নামেন ওই তরুণী, তা ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের। পুলিশের এক সূত্রের দাবি, ঘটনাস্থলের কাছের দেওয়ালে তদন্তকারীরা অ্যাসিডের কোনও চিহ্ন খুঁজে পাননি! শুধু তা-ই নয়, ঘটনার মূল অভিযুক্তের গতিবিধি নিয়েও সন্দেহ দানা বেঁধেছে। আদৌ ওই যুবক ঘটনার সময় ঘটনাস্থলে ছিলেন তো না কি মোবাইল অন্য কোথায় রেখে গিয়েছিলেন, সেই বিষয়ও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
আরও পড়ুন:
তদন্তকারীদের এক সূত্রকে উদ্ধৃত করে পিটিআই জানিয়েছে, তদন্তের স্বার্থে অভিযুক্তের কল রেকর্ড, মোবাইল লোকেশন খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে এখনও পর্যন্ত ঘটনার সময় মূল অভিযুক্তের ঘটনাস্থলে উপস্থিতির প্রমাণ মেলেনি। তাঁর ‘কল ডিটেইল রেকর্ড’ (সিডিআর) খুঁটিয়ে দেখে জানা গিয়েছে ঘটনার সময় মূল অভিযুক্ত করোলবাগ এলাকায় ছিলেন! এ ছাড়াও, ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখা হয়েছে। তবে তাতেও ঘটনার সময় বা তার আগে-পরে মূল অভিযুক্তের কোনও গতিবিধি নজরে আসেনি বলেই সূত্রের খবর।
পুলিশ জানিয়েছে, তদন্তে সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। অভিযুক্তের খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি অভিযানও চলছে। পুলিশ সূত্রে আরও খবর, অভিযুক্তেরা আক্রান্ত তরুণীর পূর্ব পরিচিত। দীর্ঘ দিন ধরে ধারাবাহিক ভাবে তরুণীর পিছু নিতেন বলে তর্কাতর্কিও হয়েছিল। তার মধ্যেই ঘটে যায় অ্যাসিড হামলার ঘটনা।