অরবিন্দ কেজরীওয়ালের সঙ্গে ফয়সল পটেল। নিজস্ব চিত্র।
আহমেদ পটেলের মৃত্যুর পরে সনিয়া গান্ধী বলেছিলেন, আহমেদ ছিলেন তাঁর সবথেকে বিশ্বস্ত কর্মী। কংগ্রেস ক্ষমতায় থাকার সময়ও যিনি কোনও সরকারি পদ, প্রচার, প্রশংসা চাননি।
সেই আহমেদ পটেলের পুত্র ফয়সল পটেল আজ সনিয়াকে অস্বস্তিতে ফেলে ইঙ্গিত দিলেন, তিনি আম আদমি পার্টিতে যোগ দিতে পারেন। কংগ্রেস সূত্রের খবর, ফয়সল চলতি বছরের শেষে গুজরাত বিধানসভা নির্বাচনে ভারুচ জেলার বাগরা কেন্দ্র থেকে কংগ্রেসের প্রার্থী হতে চাইছিলেন। কিন্তু শীর্ষ নেতৃত্বের থেকে ইচিবাচক সাড়া না মেলায় তিনি এখন অরবিন্দ কেজরীবালের দলে যোগ দেওয়ার কথা ভাবছেন।
ফয়সল পটেল কংগ্রেসের কোনও পদে ছিলেন না। কংগ্রেসের সঙ্গে তাঁর সরাসরি কোনও যোগও ছিল না। ফলে তিনি আম আদমি পার্টিতে যোগ দিলে কংগ্রেসের যে বিরাট ক্ষতি হবে এমন নয়। কিন্তু সনিয়া গান্ধীর দীর্ঘ দিনের রাজনৈতিক সচিবের পুত্র অন্য দলে যোগ দিলে কংগ্রেস তথা দলের হাই কমান্ড সম্পর্কে ফের নেতিবাচক বার্তা যাবে বলে দলের নেতাদের আশঙ্কা। গুজরাতের এক কংগ্রেস নেতা বলেন, ‘‘আহমেদভাইয়ের ছেলে আপ-এ যোগ দিলে কেজরীবাল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে হাতিয়ার পেয়ে যাবেন। তবে ফয়সলের সঙ্গে তাঁর বাবার অনুগামীরা আপ-এ যোগ দেবেন কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।’’
ফয়সল আজ টুইট করে বলেছেন, ‘‘অপেক্ষা করে করে ক্লান্ত। শীর্ষ নেতৃত্বের থেকে কোনও উৎসাহ নেই। সব রকম বিকল্প তাই খোলা রাখছি।’’ তিনি অবশ্য এ নিয়ে বিশদে আর কিছু বলতে চাননি। তাঁর বক্তব্য, টুইটে যা বলার বলে দিয়েছেন।
২০২০-র নভেম্বরে আহমেদের মৃত্যু হয়। সে সময় তিনি ছিলেন কংগ্রেসের কোষাধ্যক্ষ। বাবার মৃত্যুর পরে হার্ভার্ড বিজনেস স্কুলের প্রাক্তনী ফয়সল জানিয়েছিলেন, তিনি সক্রিয় রাজনীতিতে যোগ দিতে চান না। এক মাসের মধ্যেই ফয়সল জানান, দল চাইলে তিনি ভারুচ থেকে গুজরাতের বিধানসভা ভোটে লড়তেও রাজি। এরপর দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালের সঙ্গে দেখা করেন ফয়সল। কেজরীবাল ফয়সলের সামাজিক কাজকর্মে সরকারি অনুদানও দিয়েছিলেন। কংগ্রেস নেতারা বলছেন, গত এক বছর তাঁর খোঁজখবর ছিল না। আচমকাই মার্চের শেষে তিনি ঘোষণা করেন, গুজরাতের ভারুচ, নর্মদা জেলার বিধানসভা কেন্দ্রগুলিতে সফর করবেন। তারপরে রমজান মাসের জন্য সফর পিছিয়ে দেন। এখন আবার দলের শীর্ষ নেতৃত্বের প্রতি হতাশা প্রকাশ করছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy