মেঘালয়ে মধুচন্দ্রিমায় হত্যাকাণ্ডে ‘ভাড়াটে খুনি’র তত্ত্ব উঠে এসেছে। সন্দেহ করা হচ্ছে, সোনম রঘুবংশী এবং তাঁর চর্চিত ‘প্রেমিক’ রাজ সিংহ কুশওয়াহা ছাড়া বাকি যে তিনজন গ্রেফতার হয়েছেন, তাঁরাই ওই ‘ভাড়াটে খুনি’। পুলিশ সূত্রে খবর, স্বামী রাজা রঘুবংশীকে খুন করার জন্য ‘ভাড়াটে খুনি’দের ২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত দিতে চেয়েছিলেন সোনম।
হত্যাকাণ্ডের ওই তিন জনের কী ভূমিকা ছিল, তা এখনও সরকারি ভাবে কিছু জানায়নি মেঘালয় পুলিশ। পাঁচ জনকেই গ্রেফতার করে মেঘালয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সেখানেই তাঁদের জেরা করে এ বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রকে উদ্ধৃত করে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে জানানো হয়েছে, গত ২৩ মে ছবি তোলার নাম করে স্বামীকে নিয়ে মেঘালয়ের একটি নির্জন পাহাড়ি অঞ্চলে গিয়েছিলেন। সেখানেই রাজাকে খুনের ছক কষা হয়েছিল বলে খবর।
দাবি করা হচ্ছে, প্রথমে কিছুটা দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন ‘ভাড়াটে খুনি’রা। কিন্তু সোনম ছিলেন লক্ষ্যে অবিচল। এর পর সোনম নিজের কার্যসিদ্ধির জন্য ওই ‘ভাড়াটে খুনি’দের ২০ লক্ষ টাকা দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন। তাৎক্ষণিক ভাবে ওই অভিযুক্তদের হাতে ১৫ হাজার টাকা নগদ ধরিয়ে দিয়েছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন:
সূত্রের খবর, স্বামীকে খুন করার ষড়যন্ত্রে সাহায্য করার জন্য ‘প্রেমিক’ রাজকেও ব্যবহার করেছিলেন সোনম। দাবি করা হচ্ছে, সোনমই তাঁকে বলেছিলেন বিধবা হয়ে গেলে নতুন করে সংসার পাততে পারবেন। স্বামীর মৃত্যু হলে তিনি রাজকে বিয়ে করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
বিভিন্ন সূত্রে দাবি করা হচ্ছে, খুনের নেপথ্যে রয়েছে রাজের সঙ্গে সোনমের প্রেমের সম্পর্ক। বিয়ের আগে থেকেই সোনমের সঙ্গে তাঁর পরিচয় ছিল। অভিযোগ, রাজাকে খুনের ষড়যন্ত্রে যুক্ত ছিলেন এই রাজ। তাঁর সঙ্গে সোনমের একাধিক ফোনালাপের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে বলেও পুলিশ সূত্রে দাবি। এমনকি, রাজার সঙ্গে সোনমের বিয়ের পরেও দু’জনের যোগাযোগ ছিল। পারিবারিক সূত্রে সোনমদের সানমাইকার ব্যবসা ছিল।
স্থানীয় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, সেখানে কর্মচারী হিসাবে কাজ করতেন ২১ বছর বয়সি রাজ। সেই সূত্রেই আলাপ হয়েছিল দু’জনের। প্রায়ই তাঁদের ফোনে কথা হত। মেঘালয় পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার সময় সোনমের সঙ্গেই ছিলেন রাজ। তবে তাঁর কী ভূমিকা ছিল হত্যাকাণ্ডে, তা তদন্তসাপেক্ষ।