Advertisement
E-Paper

লেহ-বিক্ষোভে মৃত্যুর বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবি সোনমের, লাদাখবাসীর উদ্দেশে লিখলেন চিঠি

লাদাখকে সংবিধানের ষষ্ঠ তফসিলের অন্তর্ভুক্ত করা এবং পূর্ণাঙ্গ রাজ্যের মর্যাদা দেওয়ার দাবিতে গত ২৪ সেপ্টেম্বর লাদাখের রাজধানী লেহ শহরে বিক্ষোভ দেখায় জনতা। লাদাখে অশান্তির দু’দিন পরে গত ২৬ সেপ্টেম্বর গ্রেফতার করা হয় সোনম ওয়াংচুককে।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০২৫ ১৫:১০
Sonam Wangchuk demands judicial probe into death of four in Leh protests

সোনম ওয়াংচুক। — ফাইল চিত্র।

তিনি জেলে থাকতে প্রস্তুত। তবে লেহতে বিক্ষোভের সময় চার জনের মৃত্যুর ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত করতে হবে। এমনই দাবি জানালেন জেলবন্দি ইঞ্জিনিয়ার, গবেষক তথা সমাজকর্মী সোনম ওয়াংচুক।

বর্তমানে সোনমের ঠিকানা জোধপুরের কারাগার। তাঁর বিরুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তা আইনে মামলা রুজু হয়েছে বলে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রশাসন জানিয়েছে। তাঁর গ্রেফতারি ‘বেআইনি’, এই দাবিতে নতুন করে আন্দোলন শুরু হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, সোনমের স্ত্রী গীতাঞ্জলি আংমো সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। সেই আবহে এ বার জেলে বসেই বার্তা দিলেন সোনম। শনিবার জেলে দেখা করতে যান তাঁর আইনজীবী এবং ভাই। তাঁদের মাধ্যমে সোনম লাদাখবাসীকে শান্তি এবং ঐক্য বজায় রাখার বার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘শান্তিপূর্ণ ভাবে সংগ্রাম চালিয়ে যান।’’ সহিংসতার পথ ছেড়ে গান্ধীবাদী অহিংসার পথে আন্দোলনের আহ্বান জানিয়েছেন সোনম। একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, লেহতে বিক্ষোভের সময় যে চার জনের মৃত্যু হয়েছে, তা নিয়ে যদি স্বাধীন তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়, তবে তদন্ত শেষ না-হওয়া পর্যন্ত জেলে থাকতে প্রস্তুত।

লাদাখবাসীর উদ্দেশে লেখা এক চিঠিতে সোনম বলেন, ‘‘আমি শারীরিক ও মানসিক ভাবে ভাল আছি। যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন, তাঁদের পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা রয়েছে।’’

লাদাখকে সংবিধানের ষষ্ঠ তফসিলের অন্তর্ভুক্ত করা এবং পূর্ণাঙ্গ রাজ্যের মর্যাদা দেওয়ার দাবিতে গত ২৪ সেপ্টেম্বর লাদাখের রাজধানী লেহ শহরে বিক্ষোভ দেখায় জনতা। অভিযোগ, বিক্ষোভ চলাকালীন লেহ-তে বিজেপির পার্টি অফিসে আগুন ধরিয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা। পার্টি অফিসের সামনে থাকা একটি পুলিশের গাড়িতেও আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। সংঘর্ষে মৃত্যু হয় চার জনের।

লাদাখে অশান্তির দু’দিন পরে গত ২৬ সেপ্টেম্বর সোনমকে গ্রেফতার করা হয়। ‘থ্রি ইডিয়টস’ সিনেমায় আমির খানের ‘র‌্যাঞ্চো’ চরিত্রটি তৈরি হয়েছিল তাঁরই আদলে। অনেকেই তাঁকে বাস্তবের ‘র‌্যাঞ্চো’ বলে ডাকেন। বিদেশি অনুদান নিয়ন্ত্রণ আইন (ফরেন কনট্রিবিউশন রেগুলেশন অ্যাক্ট বা এফসিআরএ) লঙ্ঘনের অভিযোগে পদক্ষেপ করেছিল শাহের মন্ত্রক। সোনমের সংস্থা ‘স্টুডেন্টস এডুকেশনাল অ্যান্ড কালচারাল মুভমেন্ট অফ লাদাখ’ (এসইসিএমওএল)-এর এফসিআরএ লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছিল। কার্গিল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স (কেডিএ) সরাসরি জানিয়ে দিয়েছে, সোনম এবং গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিদের মুক্তি না দিলে তারা কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনায় বসবে না।

Ladakh Sonam Wangchuk
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy