মঙ্গলবার সনিয়া গাঁধীকে দু’দফায় ছ’ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করল ইডি। ন্যাশনাল হেরাল্ড দুর্নীতি কাণ্ডে বুধবার আবার কংগ্রেস সভানেত্রীকে জেরা করা হবে। সমন পাঠিয়েছে ইডি।
মঙ্গলবার সকাল ১১টায় ছেলে রাহুল এবং মেয়ে প্রিয়ঙ্কার সঙ্গে ইডির দফতরে হাজির হন সনিয়া। জিজ্ঞাসাবাদ শুরুর পর কংগ্রেস সাংসদদের নিয়ে সংসদ থেকে রাষ্ট্রপতি ভবন পর্যন্ত প্রতিবাদ মিছিল করেন রাহুল গাঁধী। অভিযোগ করেন, বিরোধী নেতাদের নিশানা করতে কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্যবহার করা হচ্ছে। রাহুল-সহ কংগ্রেস নেতাদের আটক করে পুলিশ।
রাহুল যখন আটক হয়েছেন, তখন প্রিয়ঙ্কা ইডির দফতরে মায়ের ওষুধ হাতে বসেছিলেন। যদি জিজ্ঞাসাবাদের মাঝে ৭৫ বছরের কংগ্রেস সভানেত্রীর কোনও ওষুধের প্রয়োজন হয়।
সকাল ১১টা ১৫মিনিটে শুরু হয় সনিয়ার জেরা। ইডির আধিকারিকরা জানিয়েছেন, কোভিডবিধি মেনেই জিজ্ঞাসাবাদের প্রক্রিয়া চালানো হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের সময় লাগাতার দু’জন চিকিৎসক ছিলেন দফতরে। বাইরে দাঁড়িয়ে ছিল অ্যাম্বুল্যান্স। বাড়ি থেকে যে পথে সনিয়া ইডির দফতরে গিয়েছিলেন, সেই রাস্তার ধারে বসানো হয়েছিল ব্যারিকেড।
ন্যাশনাল হেরাল্ড সংবাদপত্রের আর্থিক তছরুপের ঘটনায় গত বৃহস্পতিবারও সনিয়াকে নিজেদের দফতরে বসিয়ে জেরা করে ইডি। শুক্রবার সমন পাঠিয়ে আবার সোমবার জেরার জন্য ডেকে পাঠানো হয় কংগ্রেস সাংসদকে। পরে এক দিন পিছিয়ে দেওয়া হয় জিজ্ঞাসাবাদ। এর আগে একই মামলায় পাঁচ দিন প্রায় ৫০ ঘণ্টা ধরে জেরা করা হয় রাহুলকে।