‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর থেকে পাকিস্তান যা বলে চলেছে, তা ‘বিরোধাভাস এবং মিথ্যা প্রচারে’ পূর্ণ বলে মত সাউথ ব্লকের। তাদের বক্তব্য, পাকিস্তানের কথা ও কূটনৈতিক বাস্তবতার সংযোগ কখনওই ছিল না, আজও নেই। তাই তাদের বক্তব্যের পিছনে না দৌড়ে প্রত্যাঘাতের জন্য প্রস্তুত থাকাই শ্রেয়। এটাও হিসেবের মধ্যে রাখা হচ্ছে, গত কাল যা হয়েছে তা আচমকা আক্রমণ এবং তাকে আটকাতে ব্যর্থ ইসলামাবাদ। কিন্তু এ বার তারা কোনও প্রত্যাঘাত করার পরে ভারত ফের অভিযান চালালে যথেষ্ট প্রতিরোধ এবং ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। তা-ও হিসাবের মধ্যে রাখা হচ্ছে।
সূত্রের খবর, আজ জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা কমিটির বৈঠকে জানিয়েছেন যে ভারত কোনও ভাবেই সীমান্তে উত্তেজনা এবং সংঘাত বাড়াতে চায় না। কিন্তু প্রয়োজনে যোগ্য জবাব দেওয়ার জন্য তৈরি। আবার প্রাক্তন সেনাপ্রধান মনোজ নরবনে আজ এক্স-এ লেখেন, ‘পিকচার অভি বাকি হ্যায়’। পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ় শরিফ পার্লামেন্টে বলেন, সেনা প্রস্তুত রয়েছে ‘দ্রুত প্রত্যাঘাতে’র জন্য।
ভারতের বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের বক্তব্য, সীমান্তে, আকাশ এবং জলপথে দীর্ঘমেয়াদি ভাবে নজরদারি জরুরি। সেই সঙ্গে পাকিস্তানের মদতপুষ্ট সন্ত্রাস সম্পর্কে একটি ভাষ্য বিশ্বের কাছে এবং রাষ্ট্রপুঞ্জে তুলে ধরাও ভারত চালিয়ে যাবে। কূটনৈতিক শিবিরের বক্তব্য, পাক পার্লামেন্টে শরিফ যা বলেছেন তা পরস্পরবিরোধী। এক দিকে পাক সেনা বলছে, ভারতীয় বায়ুসেনা নিজেদের সীমান্তের মধ্যে থেকেই ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছে। কিন্তু শরিফের দাবি, পাকিস্তান ভারতীয় জেটের যোগাযোগ ব্যবস্থা ‘জ্যাম’ করেছিল। তৃতীয়ত, শরিফ তাঁর সেনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন তারা ‘সম্পূর্ণ প্রস্তুত’ ছিল বলে। তা সত্ত্বেও ভারত ন’টি জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)