অরবিন্দ কেজরীওয়ালের সাজানো ‘শিশমহল’-এ নতুন মুখ্যমন্ত্রী আদৌ থাকবেন কি না, তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন রয়েছে সিভিল লাইন্সের ফ্ল্যাগশিপ রোডে। ওই বাসভবনের জৌলুস নিয়ে বিধানসভা নির্বাচনের আগে আপ সরকার তথা কেজরীর বিরুদ্ধে ঢালাও প্রচার করেছে বিজেপি। অভিযোগ, দুর্নীতির টাকায় নিজের বাসভবনটি সাজিয়েছেন আপ প্রধান। দিল্লিতে আপ সরকারের পতনের পর এ বার ‘শিশমহলের’ ভবিষ্যৎ নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। সূত্রের খবর, বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী ওই ভবনে না-ও থাকতে পারেন।
দিল্লির ভোটের আগে বিজেপির প্রচারের অন্যতম বিষয় ছিল আপের দুর্নীতি। কেজরীর বাসভবনকে তারা ‘শিশমহল’ বলে কটাক্ষ করে। কেজরীকে খোঁচা দিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছিলেন, ‘‘ক্ষমতায় আসার আগে উনি (কেজরীওয়াল) বলেছিলেন সরকারি বাংলো পর্যন্ত নেবেন না। আর ক্ষমতায় এসে নিজের সরকারি আবাস সাজাতে বিপুল অর্থ নয়ছয় করেছেন।’’ এমনকি, কংগ্রেসও এ নিয়ে আপকে কটাক্ষ করে। রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, ‘‘কেজরীওয়াল ছোট একটা গাড়িতে চড়ে এসেছিলেন। কিন্তু তার পর থাকতেন শিশমহলে।’’ অনেকে বলছেন, যে ভবনের বিরুদ্ধে এত প্রচার করা হয়েছে, বিজেপির নতুন মুখ্যমন্ত্রী এসে আবার সেই ভবনে থাকলে জনমানসে শুরুতেই বিপরীত বার্তা যেতে পারে।
আরও পড়ুন:
দিল্লিতে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ২৭ বছর পর ক্ষমতায় ফিরেছে বিজেপি। ৭০টি আসনের মধ্যে তারা পেয়েছে ৪৮টি আসন। আপ জিতেছে মাত্র ২২টিতে। নয়াদিল্লি কেন্দ্রে খোদ কেজরীওয়ালকে হারিয়ে দিয়েছেন বিজেপির প্রার্থী তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর পুত্র প্রবেশ বর্মা। তবে রাজধানীর নতুন মুখ্যমন্ত্রী কে হচ্ছেন, তা এখনও ঘোষণা করা হয়নি। সোমবার চার দিনের বিদেশ সফরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সূত্রের খবর, তিনি দেশে ফিরলে নতুন মুখ্যমন্ত্রীর নাম প্রকাশ করা হতে পারে।
দিল্লির কুর্সির সবচেয়ে বড় দাবিদার আপাতত প্রবেশ। কারণ তিনি আপ প্রধান তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কেজরীকে হারিয়েছেন চার হাজারের বেশি ভোটে। তবে সতীশ উপাধ্যায়, আশিস সুদ, বিজেন্দ্র গুপ্তা, জীতেন্দ্র মহাজনের মতো কিছু নামও ঘোরাফেরা করছে। রবিবারই মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন আপের আতিশী মার্লেনা। যত দিন পর্যন্ত নতুন মুখ্যমন্ত্রী শপথ না-নিচ্ছেন, তত দিন তিনিই মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলাবেন।