এক মাস আগে পর্যন্তও মোদী সরকারের অবস্থান ছিল, নতুন করে ভারতে চিনের লগ্নির জন্য দরজা খোলা যেতে পারে। কিন্তু সে জন্য চিনা সংস্থাকে ভারতের কোনও সংস্থাকে প্রযুক্তিগত সাহায্য করতে হবে। এখন আমেরিকার ডোনাল্ড ট্রাম্পের ৫০ শতাংশ শুল্কের চাপে দেশের শিল্পমহল, বিশেষ করে রফতানিকারীদের মধ্যে যখন ত্রাহি ত্রাহি রব উঠেছে, তখন আগের অবস্থান নরম করার ইঙ্গিত মিলছে মোদী সরকারের অন্দরমহলে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শনিবারই চিনে গিয়ে পৌঁছেছেন। অপারেশন সিঁদুর-এ ভারতের সঙ্গে সংঘাতে চিন পিছন থেকে পাকিস্তানকে সাহায্য করছিল বলে সামরিক বাহিনী অভিযোগ তুলেছিল। সেই ক্ষোভ শিকেয় তুলে আপাতত বরফ গলানোর চেষ্টা চলছে। তারই অঙ্গ হিসেবে খুব শীঘ্রই কারখানা উৎপাদন, পুনর্নবীকরণযোগ্য জ্বালানি ও গাড়ির যন্ত্রাংশ তৈরিতে চিনের লগ্নির জন্য দরজা খুলে দেওয়া হতে পারে বলে সরকারি সূত্রের ইঙ্গিত। এ সব ক্ষেত্রে ২০ থেকে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত সরাসরি চিনা লগ্নির অনুমতি দেওয়াহতে পারে।
পাঁচ বছর আগে ভারত চিনের লগ্নির ক্ষেত্রে কড়া বিধিনিষেধ জারি করেছিল। প্রতিটি ক্ষেত্রে সরকারি অনুমতি নিতে বলে নির্দেশিকা জারি হয়। মূলত চিনকেই নিশানা করে কেন্দ্রীয় সরকার একটি বিবৃতি জারি করেছিল। ‘প্রেস নোট থ্রি’ হিসেবে পরিচিত সেই নির্দেশিকা এ বার শিথিল করা হবে বলে সূত্রের খবর। সম্প্রতি নীতি আয়োগও এ বিষয়েসুপারিশ করেছে।
যদিও ইলেকট্রনিক্স ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রকের মত ছিল, ভারতীয় সংস্থার সঙ্গে চিনের যৌথ উদ্যোগে প্রযুক্তি হস্তান্তরের শর্ত রাখা উচিত। সরকারি সূত্র বলছে, এখন সরকারের অন্দরমহলের মত হল চিনের সংস্থাগুলি এ দেশে সস্তায় পণ্য রফতানির বদলে এখানেই যাতে বিরাট মাপের কারখানা খুলতে পারে, তার জন্য আহ্বান জানানো দরকার। যদিও সেখানে নিরাপত্তা বিষয়ক সব রকম নজরদারি চলবে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)