নীতি আয়োগের পরিচালন পরিষদের বৈঠকের আগে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বিরোধীশাসিত রাজ্যগুলি ফের এককাট্টা হচ্ছে।
শনিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভাপতিত্বে নীতি আয়োগের পরিচালন পরিষদের বৈঠক। সেখানে ২০৪৭-এর ‘বিকশিত ভারত’-এর লক্ষ্য পূরণের জন্য ‘বিকশিত রাজ্য’ তৈরির লক্ষ্য অন্যতম আলোচ্য বিষয়। তার আগে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন বিরোধীশাসিত আটটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন। সুপ্রিম কোর্ট সম্প্রতি রাজ্যের বিধানসভায় পাশ হওয়া বিলে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতি ও রাজ্যপালের জন্য সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের এই ক্ষমতা রয়েছে কি না, তা জানার জন্য রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু সুপ্রিম কোর্টেরই মতামত চেয়ে ‘প্রেসিডেন্সিয়াল রেফারেন্স’ পাঠিয়েছেন। যাকে আইনজীবী মহল সুপ্রিম কোর্টের রায়ের চ্যালেঞ্জ হিসেবেই দেখছে। এর বিরুদ্ধে স্ট্যালিন বিরোধীশাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের চিঠি লিখে একসঙ্গে আইনি লড়াইয়ের ডাক দিয়েছেন।
শনিবার নীতি আয়োগের পরিচালন পরিষদের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীরা একত্র হলে এ বিষয়ে আলোচনা হতে পারে। যদিও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নীতিআয়োগের বৈঠকে যোগ দিতে দিল্লি আসবেন কি না, তা এখনও নিশ্চিত নয়। তৃণমূল সূত্রের বক্তব্য, সম্ভাবনা থাকলেও মুখ্যমন্ত্রীর দিল্লি সফরের কোনও ইঙ্গিত মেলেনি।
তৃণমূল সূত্রের বক্তব্য, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী নিশ্চিত ভাবেই স্ট্যালিনকে নিজের মতামত জানাবেন। স্ট্যালিন জানিয়েছেন, তিনি সুপ্রিম কোর্টের কাছে রাষ্ট্রপতির চিঠির ঘোর নিন্দা করছেন। তামিলনাড়ুর রাজ্যপালের বিরুদ্ধে মামলায় সুপ্রিম কোর্টের রায়কে এড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে। আজ লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী তাঁকে সমর্থন করে বলেছেন, ‘‘মোদী সরকার রাজ্যপালদের অপব্যবহার করে নির্বাচিত রাজ্য সরকারগুলির কণ্ঠরোধের চেষ্টা করছে।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)