E-Paper

ত্রিপুরায় ‘হাতছাড়া’ জেএমবি জঙ্গিই কি এখন সক্রিয় 

গোয়েন্দা সূত্রের দাবি, আগরতলা শহরেই কয়েক বছর আগে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকত বাংলাদেশি নাগরিক আবুল আলি। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের কাছে খবর ছিল, এই জেএমবি জঙ্গি ত্রিপুরার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরত।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৪ জানুয়ারি ২০২৫ ০৯:২৪

— প্রতীকী চিত্র।

বাংলাদেশের পরিস্থিতি অস্থির হয়ে ওঠার পরে সীমান্তে অনুপ্রবেশ বেড়েছে। পশ্চিমবঙ্গ-সহ একাধিক রাজ্যে ধরা পড়েছে আনসারুল্লা বাংলা টিম (এবিটি)-এর জঙ্গিরা। এই পরিস্থিতিতে চর্চায় আসছে এক সময়ে আগরতলায় বাস করা এক ব্যক্তির কথা। সূত্রের দাবি, ওই ব্যক্তি আসলে ছদ্মবেশী জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি) জঙ্গি। তার বিষয়ে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারাই ত্রিপুরার পুলিশ-প্রশাসনকে সতর্ক করেছিলেন। কিন্তু তাকে গ্রেফতার করা যায়নি।

গোয়েন্দা সূত্রের দাবি, আগরতলা শহরেই কয়েক বছর আগে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকত বাংলাদেশি নাগরিক আবুল আলি (নাম পরিবর্তিত)। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের কাছে খবর ছিল, এই জেএমবি জঙ্গি ত্রিপুরার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরত। ত্রিপুরার বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখত। এই তথ্য কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বাহিনীর তরফে ত্রিপুরার নিরাপত্তা বাহিনীকে দেওয়া হলেও লোকটিকে কখনওই ধরা হয়নি। কেন তাকে ধরা গেল না, সে বিষয়ে কারও কাছেই সুনির্দিষ্ট কোনও তথ্য নেই বলে গোয়েন্দা সূত্রের খবর।

সম্প্রতি ত্রিপুরা পুলিশের ডিজি অমিতাভ রঞ্জন জানান, ওই রাজ্যে ধর্মীয় মৌলবাদী জঙ্গিদের ‘চিহ্ন’ পাওয়া গিয়েছে। নির্ভরযোগ্য তথ্যের ভিত্তিতেই আশঙ্কা করা যায়, নাশকতার ছক কষা হচ্ছে। ত্রিপুরা সরকারের হাতে সীমান্তের ও-পারে সক্রিয় ধর্মীয় মৌলবাদী জঙ্গিদের কার্যকলাপ এবং তাদের ভবিষ্যৎ কৌশল সংক্রান্ত তথ্য তুলে দিয়েছে এনআইএ। পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে অশান্তি ছড়ানোই এই মৌলবাদী জঙ্গিদের উদ্দেশ্য। ডিজি আরও জানান, বাংলাদেশ সীমান্তের ত্রিপুরার অংশের লাগোয়া জায়গা থেকে শুরু করে একটি ‘রুট’ ইতিমধ্যেই তৈরি করে ফেলেছে জঙ্গিরা। সেই পথেই অস্ত্র পাচার এবং অনুপ্রবেশ হচ্ছে ত্রিপুরায়।

গোয়েন্দা সূত্রের আশঙ্কা, এই রুট তৈরিতেও হয়তো হাত রয়েছে আগরতলার সেই ছদ্মবেশী জঙ্গি আবুলের। সম্প্রতি ধরা পড়া এবিটি জঙ্গিরা কেউ কেউ জেরায় জানিয়েছে, তারা আগে জেএমবি-র স্লিপার সেলের হয়ে কাজ করত। কাজেই বর্তমানে ভারতে জঙ্গি অনুপ্রবেশেও জেএমবি-র আবুলের সক্রিয় ভূমিকা থাকা অসম্ভব নয়। কিন্তু আবুলের হদিস এখন জানে না কেউ। প্রশ্ন উঠছে, কার গাফিলতিতে আজ সে নাগালের বাইরে?

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

militants India-Bangladesh Border Bangladesh Unrest Bangladesh

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy