আমেরিকার শুল্ক আরোপ নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রবল হুমকির মধ্যে ফিলিপিন্সের সঙ্গে কৌশলগত অংশীদারিত্বের পথে হাঁটল নয়াদিল্লি। তৈরি হল নতুন সমীকরণ। ভারতে সফরে এসেছেন ফিলিপিন্সের প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে তাঁর দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পরে ভারতীয় পর্যটকদের ভিসা ছাড়াই সে দেশে প্রবেশের বিষয়ে ফিলিপিন্স ছাড়পত্র দিল। ভারত প্রতিশ্রুতি দিল,দিল্লি-ম্যানিলা আরও বেশি সরাসরি বিমান চলাচলের।
আজকের বৈঠকের পরে মোদী বলেছেন, “এই কৌশলগত অংশীদারিত্বের সম্ভাবনাকে বাস্তবায়িত করতে একটি বিস্তৃত কর্মপরিকল্পনাও তৈরি করা হয়েছে। ভারত এবং ফিলিপিন্স, ভারত মহাসাগর থেকে প্রশান্ত মহাসাগর পর্যন্ত সমন্বয় এবং সুষম মূল্যবোধে ঐক্যবদ্ধ। আমাদের বন্ধুত্ব কেবল অতীতের বন্ধুত্ব নয়, এটি ভবিষ্যতের প্রতিশ্রুতিও।”
দক্ষিণ চিন সাগরে বরাবরই চিনের একাধিপত্য। সেখানে ফিলিপিন্সের সঙ্গে ভারতের এই সমীকরণ নিঃসন্দেহে চিনের নজর কাড়ছে। মোদী আরও জানান, ভারতের ‘অ্যাক্ট ইস্ট’ নীতিতে ফিলিপিন্স গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। চিনকে বার্তা দিয়ে তিনি বলেন, “আমরা ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে শান্তি, নিরাপত্তা, সমৃদ্ধি এবং নিয়ম-ভিত্তিক শৃঙ্খলার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা আন্তর্জাতিক আইনঅনুসারে নৌ-চলাচলের স্বাধীনতাকে সমর্থন করি।”
দুই দেশের মধ্যে ৯টি চুক্তি সই হয়েছে আজ। ফিলিপিন্স, ভারত থেকে প্রতিরক্ষা সামগ্রী কেনার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। একটি দ্বিপাক্ষিক অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তির কাজ শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন যে, ভারতীয় সংস্থাগুলি ফিলিপিন্সের প্রতিটি ক্ষেত্রে কাজ করছে, যার মধ্যে তথ্য ও ডিজিটাল প্রযুক্তি, স্বাস্থ্য, অটোমোবাইল, পরিকাঠামো, খনিজ পদার্থ রয়েছে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)