—প্রতীকী ছবি।
র্যাগিং, মূলত তারই কারণে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রমৃত্যু নিয়ে উত্তাল রাজ্য। ১৩ জন ছাত্রকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ উঠলেও র্যাগিং রুখতে ব্যর্থ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এমনই আবহে খবর এসেছে, হিমাচল প্রদেশের আইআইটি মান্ডির প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের উপরে দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়াদের র্যাগিংয়ের অভিযোগকে কেন্দ্র করে ওই প্রতিষ্ঠানের বেশ কয়েকজন পড়ুয়ার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে কয়েকজন পড়ুয়াকে।
এর পাশাপাশি কয়েকজনকে আর্থিক জরিমানা এবং কয়েক জনকে বিভিন্ন পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। চিঠি দিয়ে অভিযুক্তদের বলা হয়েছে, কোনও ভাবেই র্যাগিং বরদাস্থ করবে না প্রতিষ্ঠানের অ্যান্টি র্যাগিং কমিটি। আর এখানেই এ রাজ্যের, মূলত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যান্টি র্যাগিং কমিটির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে শিক্ষামহল।
টালিগঞ্জ এলাকায় থাকেন আইআইটি মান্ডির চতুর্থ বর্ষের এক ছাত্রী। হস্টেলে থেকে পড়াশোনা করেন। তিনি জানাচ্ছেন, হস্টেলে র্যাগিং হয় না। প্রথম বর্ষের সমস্ত পড়ুয়াদের দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়ারা একটা হলঘরে ডাকেন। সেখানে তাঁদের ইন্ট্রো বা বিস্তারিত পরিচয় জানতে চাওয়া হয়। পরে পড়ুয়াদের কিছু মজার মজার জিনিস করতে বলা হয়। ওই ছাত্রী বলেন, ‘‘আমাকে মোবাইল বন্ধ রেখে চুপ করে দশ মিনিট বসে থাকতে বলেছিল।’’ তবে ওই প্রতিষ্ঠানের পড়ুয়াদের মতে, এ বার এমন কিছু হয়েছে, তার জন্য অ্যান্টি-র্যাগিং কমিটিকে ব্যবস্থা নিতে হয়েছে। আইআইটি মান্ডির আধিকারিক অখিল বৈদ্য বলেন, ‘‘আমাদের প্রতিষ্ঠান সবসময় র্যাগিং বিরোধী। এখানে কোনও ধরণের অভিযোগ উঠলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। সম্প্রতি আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে র্যাগিংয়ের একটি ঘটনা নিয়ে যে সব ছাত্রদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তাঁদের বিরুদ্ধে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’’
যাদবপুরের ক্ষেত্রে কেন সেরকম কোনও ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব নয়, প্রশ্ন তুলছেন শিক্ষকেরাই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy