Advertisement
E-Paper

‘বন্দি প্রভাবশালীদের যৌন ইচ্ছা মেটানো হয় তিহাড় জেলে’

তিহাড়ের আইনকর্তা ও মুখপাত্র ছিলেন সুনীল গুপ্ত। তাঁর দাবি, জেলের মধ্যে প্রভাবশালীদের এ ধরনের সুবিধা পাইয়ে দেওয়া খুবই সাধারণ। তাঁদের যৌন চাহিদা মেটানোর নানা দাবিও পূরণ করা হয়।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৫ নভেম্বর ২০২২ ০৭:৩০
জেলে নিয়ম ভাঙার নানা ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন তিহাড়ের প্রাক্তন আধিকারিক সুনীল গুপ্ত।

জেলে নিয়ম ভাঙার নানা ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন তিহাড়ের প্রাক্তন আধিকারিক সুনীল গুপ্ত। ফাইল চিত্র।

তিহাড় জেলে বন্দি দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈনকে মালিশ দেওয়ার একটি ভিডিয়ো নিয়ে সম্প্রতি হইচই চলছে। তার মধ্যে জেলে নিয়ম ভাঙার নানা ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন তিহাড়ের প্রাক্তন আধিকারিক সুনীল গুপ্ত।

১৯৮১ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত তিহাড়ের আইনকর্তা ও মুখপাত্র হিসাবে নিযুক্ত ছিলেন সুনীল। তাঁর দাবি, জেলের মধ্যে প্রভাবশালীদের এ ধরনের সুবিধা পাইয়ে দেওয়া খুবই সাধারণ। এমনকি প্রভাবশালী বন্দিদের যৌন চাহিদা মেটানোর নানা দাবিও পূরণ করা হয়। কখনও স্বেচ্ছায় কখনও বা জোর করে অন্য বন্দিদের যৌনতায় লিপ্ত হতে বাধ্য করা হয়। সুনীল আরও বলেন, গরিব বন্দিরা অর্থ, নিকটজনের চাকরি বা অন্যান্য সুবিধার লোভে স্বেচ্ছায় জেলবন্দি মন্ত্রী, শিল্পপতি, ব্যবসায়ী, প্রভাবশালীদের নানা রকম সুবিধা দেয়। অবসর নেওয়ার পরের বছর সুনীল এ বিষয়ে একটি বই প্রকাশ করেন। ‘ব্ল্যাক ওয়ারেন্ট’ বইয়ে প্রভাবশালী জেলবন্দিদের বিলাসবহুল জীবন সম্পর্কে বিস্তারিত লেখেন তিনি। প্রাক্তন কারাকর্তার দাবি, প্রভাবশালীদের তুষ্ট করতে নিয়মবিধির তোয়াক্কা করতেন না বহু কারাকর্মী। এ বিষয়ে সুনীল নাকি কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। কিছু কিছু ক্ষেত্রে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছিল।

সম্প্রতি তিহাড়ে সত্যেন্দ্রের একটি ভিডিয়ো সামনে আসে। দেখা যায়, তিহাড় জেলে দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পিঠে মালিশ করে দিচ্ছে এক ব্যক্তি। আর্থিক দুর্নীতিতে অভিযুক্ত আপের ওই নেতা কেন জেলের ভিতরে ভিআইপি পরিষেবা পাবেন, প্রশ্ন তোলে বিজেপি। পাল্টা দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী তথা আপ নেতা মণীশ সিসৌদিয়া জানান, কোমরে ও মেরুদণ্ডে সমস্যা থাকায় চিকিৎসকের পরামর্শেই সত্যেন্দ্রকে মালিশ করে ফিজ়িওথেরাপি দেওয়া হচ্ছে। পরে সেই ‘ফিজ়িয়োথেরাপিস্টে’র পরিচয় সামনে আসে। তিহাড় সূত্রে জানা যায়, যে ব্যক্তি সত্যেন্দ্রকে মালিশ করে দিচ্ছিল তার নাম রিঙ্কু। তার বিরুদ্ধে নিজেরই দশম শ্রেণির মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে। ওই মামলাটি এখনও বিচারাধীন। এ নিয়ে সুনীল বলেছেন, ‘‘নিজের কক্ষে অন্য বন্দির থেকে এ ভাবে মালিশ নেওয়া আইনবিরুদ্ধ। চিকিৎসার কারণে ফিজ়িয়োথেরাপির প্রয়োজন হলে তা দেওয়ার জন্য নি‌র্দিষ্ট কক্ষ রয়েছে।”

Tihar Jail Law
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy