Advertisement
E-Paper

খনি-কাণ্ডে রাজ্যের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ শীর্ষ আদালত

জীবিত বা মৃত অবস্থায় শ্রমিকদের উদ্ধার করার নির্দেশ সুপ্রিম কোর্ট দিলেও আজও উদ্ধার কাজ এক কদমও এগোতে পারল না।

নিজস্ব সংবাদদাতা 

শেষ আপডেট: ০৪ জানুয়ারি ২০১৯ ০২:৪২
চার দিন আগের উদ্ধারকাজ। —ফাইল চিত্র।

চার দিন আগের উদ্ধারকাজ। —ফাইল চিত্র।

মেঘালয়ের কয়লা খনিতে ১৫ জন শ্রমিকের আটকে পড়ার খবর পেয়েও সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নেওয়ায় সুপ্রিম কোর্টের কঠোর সমালোচনার মুখে পড়ল রাজ্য সরকার।

যে কোনও ভাবে, জীবিত বা মৃত অবস্থায় শ্রমিকদের উদ্ধার করার নির্দেশ সুপ্রিম কোর্ট দিলেও আজও উদ্ধার কাজ এক কদমও এগোতে পারল না। গত কাল মূল গহ্বরের পাশের গহ্বর থেকে দিনভর জল বের করার পরে জলতল ১৬ ইঞ্চি নামলেও আজ দেখা যায় জল ফের বেড়েছে। অর্থাৎ বাইরে থেকে গুহায় জল ঢুকছে। তাই দেহ উদ্ধারের কাজ থমকে।

গত কাল জল কমার পরে আজ ফের জল বাড়ায় ওড়িশা অগ্নিনির্বাপক দলটি আরও একটি গহ্বরে পাম্প বসিয়ে জল বের করা শুরু করে। বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত পাম্প চালানোর পরে আগের গহ্বর থেকে ৬ ইঞ্চি ও আজকের নতুন গহ্বর থেকে ১৩ ইঞ্চি জল কমেছে। কিন্তু জল ঢোকা বন্ধ না হলে তা ফের আগামীকাল বেড়ে যেতে পারে। মূল গহ্বরে কোল ইন্ডিয়ার পাম্প বসানোর চেষ্টা এখনও চলছে। জল কমার অপেক্ষায় নৌবাহিনীর ডুবুরিরাও।

এ দিকে, কসানের খনিতে শ্রমিকদের আটকে পড়া ও উদ্ধার কাজ নিয়ে আজ সুপ্রিম কোর্টে জরুরি ভিত্তিতে শুনানি হয়। বিচারপতি এ কে সিকরি ও বিচারপতি এস আব্দুল নাজিরের ডিভিশন বেঞ্চ জানান, শ্রমিকদের উদ্ধারে রাজ্যের ভূমিকায় তাঁরা মোটেই সন্তুষ্ট নন। কেন ঘটনার পরে অবিলম্বে সেনাবাহিনীর সাহায্য চাওয়া হয়নি তা নিয়েও বিস্ময় প্রকাশ করেন বিচারপতিরা। আগামীকাল ফের শুনানি।

মেঘালয় সরকারের আইনজীবী তথা সলিসিটার জেনারেল তুষার মেটা জানান, জলের নীচে এত দিন পরে কারও বেঁচে থাকার সম্ভাবনাও ক্ষীণ। প্রযুক্তিগত ও পরিকাঠামোগত সমস্যার জন্য কোল ইন্ডিয়ার উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন পাম্প এখনও ব্যবহার করা যাচ্ছে না। বিচারপতিরা বলেন, কত জন বেঁচে রয়েছে, কত জন মারা গিয়েছে সেটা বড় কথা নয়। সকলকে যত দ্রুত সম্ভব বের করে আনতে হবে। ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি, যেন সকলেই বেঁচে থাকেন।

এতদিন মেঘালয় সরকারের তরফে বলা হচ্ছিল, দেহ উদ্ধার না হলে ক্ষতিপূরণের টাকা দেওয়া হবে না। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে সমালোচনার মুখে আজ মেঘালয় সরকারের মুখপাত্র আর সুসঙ্গি জানান, রাজ্য সরকার আটকে পড়া ১৫ জন শ্রমিকের পরিবারকে ১ লক্ষ টাকার চেক অন্তর্বর্তিকালীন ক্ষতিপূরণ হিসেবে দিয়ে দিচ্ছে। ইতিমধ্যে পূর্ব জয়ন্তীয়া হিলের তিনটি পরিবার চেক নিয়েছে। কিন্তু বাকি পরিবারগুলি এখনও চেক নিতে আসেনি। যদিও অসমের চিরাঙ জেলার নিখোঁজ তিন যুবক—মণিরুল ইসলাম, আমির হুসেন, সাহের ইসলামদের পরিবার জানিয়েছে, মেঘালয় থেকে তাঁদের সঙ্গে কেউ যোগাযোগ করেনি।

Meghalaya Supreme Court Trapped Miners Rescue Work
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy