Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

শিশু ধর্ষণ-খুনে ফাঁসি বহাল সুপ্রিম কোর্টে

ঘটনা ২০১০ সালের ২৯ অক্টোবরের। স্কুলে যাওয়ার পথে একটি মন্দিরের সামনে থেকে শিশু দু’টিকে তুলে নিয়ে যায় ওই দু’জন।

সুপ্রিম কোর্ট।

সুপ্রিম কোর্ট।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০২ অগস্ট ২০১৯ ০৩:৪২
Share: Save:

১০ বছরের এক বালিকাকে গণধর্ষণ ও খুন এবং তার ৭ বছরের ভাইকে খুনের দায়ে দোষী সাব্যস্ত এক ব্যক্তির ফাঁসির সাজা বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট। মনোহরণ নামে তামিলনাড়ুর কোয়ম্বত্তূরের এই আসামির অপরাধের সঙ্গী ছিল জনৈক মোহনকৃষ্ণন। সে আগেই পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে মারা গিয়েছে।

ঘটনা ২০১০ সালের ২৯ অক্টোবরের। স্কুলে যাওয়ার পথে একটি মন্দিরের সামনে থেকে শিশু দু’টিকে তুলে নিয়ে যায় ওই দু’জন। তাদের হাত বেঁধে বালিকাটিকে ধর্ষণ করে মনোহরণ ও মোহনকৃষ্ণন। এর পরে শিশু দু’টির গলায় বিষ ঢেলে দেয় তারা। কিন্তু তাতে মৃত্যু না-হওয়ায় শিশুদু’টির হাত একসঙ্গে বেঁধে খালের জলে ফেলে ডুবিয়ে মারা হয় তাদের।

নিম্ন আদালত ও মাদ্রাজ হাইকোর্ট অভিযুক্তকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার পরে মামলাটি আসে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি আর এফ নরিম্যান, বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি সঞ্জীব খন্নার বেঞ্চে। বিচারপতি খন্না আসামির আমৃত্যু কারাবাস চাইলেও অন্য দুই বিচারপতি ফাঁসির পক্ষেই রায় দেন। বলেন, ‘‘ঠান্ডা মাথায় এই স্তম্ভিত করার মতো অপরাধ বিরলের মধ্যে বিরলতম।’’ শিশুদের যৌন হেনস্থা রোধে সংসদে যে ‘পকসো’ আইনে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনা হয়েছে, তা মনে করিয়ে দেন বিচারপতিরা। পরিবর্তিত আইনে ১২ বছর পর্যন্ত নাবালকদের ধর্ষণের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সাজা হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের কথা বলা হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE