ফাইল চিত্র।
কংগ্রেস নেতাকে খুনের মামলায় অভিযুক্ত বিএসপি নেতাকে ৫ এপ্রিলের মধ্যে গ্রেফতার করতে মধ্যপ্রদেশ পুলিশকে নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। নির্দেশ মানা না হলে কোর্ট পদক্ষেপ করতে বাধ্য হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন বিচারপতিরা। মামলায় পেশ করা মধ্যপ্রদেশ পুলিশের ডিজি-র হলফনামাও গ্রহণযোগ্য নয় বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
২০১৯ সালে কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পরে গুলি করে খুন করা হয় মধ্যপ্রদেশের ডমোহ জেলার নেতা দেবেন্দ্র চৌরাসিয়াকে। পুলিশ এই মামলায় বিএসপি নেতা গোবিন্দ সিংহ-সহ বেশ কয়েক জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে। গোবিন্দের স্ত্রী রামবাই সিংহ এখন বিধায়ক।
এই মামলায় গোবিন্দ সিংহের জামিন খারিজের জন্য সুপ্রিম কোর্টে আর্জি জানান দেবেন্দ্রের ছেলে সোমেশ ও মধ্যপ্রদেশ সরকার। জানানো হয়, জামিনে মুক্ত থাকার সময়ে আরও
অনেক খুনের মামলায় জড়িয়েছেন গোবিন্দ। ইতিমধ্যে ডমোহের অতিরিক্ত দায়রা বিচারক জানান, স্থানীয় পুলিশ সুপার ও অন্য পুলিশ কর্তারা তাঁকে চাপ দিচ্ছেন। ওই বিচারকের এজলাসেই গোবিন্দের বিরুদ্ধে মামলা চলছে। ওই বিচারক জানান, ‘রাজনৈতিক ভাবে প্রভাবশালী’ অভিযুক্তদের বাঁচানোর জন্যই ভুয়ো অভিযোগ আনা হয়েছে। ভবিষ্যতে তিনি ‘অবাঞ্চিত ঘটনা’র শিকারও হতে পারেন।
১৩ মার্চ এই মামলার শুনানিতে শীর্ষ আদালত ওই বিচারকের সুরক্ষার ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেয়। সেইসঙ্গে ডমোহের পুলিশ সুপারের বক্তব্যও জানতে চান বিচারপতিরা। পাশাপাশি গোবিন্দকে কেন গ্রেফতার করা হয়নি, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তাঁরা।
আজ বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় ও বিচারপতি এম আর শাহের বেঞ্চ জানায়, মধ্যপ্রদেশ পুলিশের ডিজি-র হলফনামা গ্রহণযোগ্য নয়। খুনের মামলায় অভিযুক্ত হওয়া সত্ত্বেও এক জন বিধায়কের স্বামীর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না, এটা মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। অভিযুক্তকে রক্ষা করার চেষ্টা চলছে। এক সময়ে গোবিন্দের সুরক্ষার ব্যবস্থা করেছিল পুলিশ। এখন সেই সুরক্ষা প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে রাজ্যের আইনজীবী জানান। কখন কেন তাঁকে সুরক্ষা দেওয়া হয়েছিল এবং কখন সুরক্ষা প্রত্যাহার করা হয়েছে তাও জানতে চেয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy