Advertisement
E-Paper

টাকার বিনিময়ে অনলাইন গেম নিষিদ্ধ করার আইনের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন! তিন হাই কোর্ট থেকে মামলা সরানো হল সুপ্রিম কোর্টে

কেন্দ্রের আইনের বিরুদ্ধে দিল্লি হাই কোর্ট, কর্নাটক হাই কোর্ট এবং মধ্যপ্রদেশ হাই কোর্টে মামলা হয়েছিল। এ অবস্থায় কেন্দ্রের তরফে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানানো হয়েছিল, যাতে তিনটি ভিন্ন হাই কোর্টের বদলে শীর্ষ আদালতেই মামলাটির শুনানি হয়।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৭:০৫
অনলাইন গেম নিয়ন্ত্রণ আইনের বৈধতা আছে কি না, তা বিবেচনা করবে সুপ্রিম কোর্ট।

অনলাইন গেম নিয়ন্ত্রণ আইনের বৈধতা আছে কি না, তা বিবেচনা করবে সুপ্রিম কোর্ট। —প্রতীকী চিত্র।

অনলাইন গেম নিয়ন্ত্রণ আইনের সাংবিধানিক বৈধতা বিবেচনা করে দেখবে সুপ্রিম কোর্ট। সংসদে চলতি বছরের বাদল অধিবেশনে পাশ হয় ‘দ্য প্রোমোশন অ্যান্ড রেগুলেশন অফ অনলাইন গেমিং বিল, ২০২৫’। গত মাসেই রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সম্মতি পেয়ে বিলটি আইনে পরিণত হয়। কিন্তু এরই মধ্যে ওই আইনের বিরুদ্ধে মামলা হয় দেশের তিনটি হাই কোর্টে। ওই তিনটি মামলা এ বার সরিয়ে আনা হল সুপ্রিম কোর্টে।

কেন্দ্রের ওই আইনের বিরুদ্ধে দিল্লি হাই কোর্ট, কর্নাটক হাই কোর্ট এবং মধ্যপ্রদেশ হাই কোর্টে মামলা হয়েছিল। এ অবস্থায় কেন্দ্রের তরফে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানানো হয়েছিল, যাতে তিনটি ভিন্ন হাই কোর্টের বদলে শীর্ষ আদালতেই মামলাটির শুনানি হয়। কেন্দ্রের তরফে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেন, “আইনের বিরুদ্ধে তিনটি হাই কোর্টে মামলা হয়েছে। যদি মামলাগুলি এখানে (সুপ্রিম কোর্টে) নিয়ে আসা হয়, তবে সময় বাঁচবে।” মামলাকারী গেমিং সংস্থাগুলিও এই আর্জির বিরোধিতা করেনি।

কেন্দ্র এবং অন্য মামলাকারী পক্ষের বক্তব্য শুনে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চ মামলাগুলি সুপ্রিম কোর্টে স্থানান্তরের অনুমতি দিয়েছে। নির্দেশনামায় শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, কর্নাটক হাই কোর্ট, দিল্লি হাই কোর্ট এবং মধ্যপ্রদেশ হাই কোর্ট থেকে এই সংক্রান্ত মামলা সুপ্রিম কোর্টে স্থানান্তর করা হচ্ছে। তিন হাই কোর্ট থেকে এই সংক্রান্ত মামলার নথি এক সপ্তাহের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টে পাঠানোর অনুরোধ করা হয়েছে। সময় বাঁচানোর জন্য ডিজিটালি নথি পাঠানো প্রস্তাবও দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

বস্তুত, কেন্দ্রের এই আইনের মাধ্যমে অর্থের বিনিময়ে খেলা অনলাইন গেমগুলিকে নিষিদ্ধ করার কথা বলা হয়েছে। তা নিয়ে হাই কোর্টগুলিতে ইতিমধ্যে প্রশ্ন উঠেছে। যেমন এক অনলাইন গেমিং সংস্থা কর্নাটক হাই কোর্টে জানিয়েছিল, বিলের নামকরণে অনলাইন গেমের ‘প্রোমোশন’ (প্রচার)-এর কথা উল্লেখ থাকলেও, এটি আসলে গেমগুলিকে নিষিদ্ধ করার জন্য তৈরি হয়েছে।

Online game Supreme Court
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy