Advertisement
০২ মে ২০২৪
Privilege Committee of Lok Sabha

স্বাধিকাররক্ষা কমিটির সুপারিশে সাসপেনশন উঠল অধীরের, বিজ্ঞপ্তি লোকসভা সচিবালয়ের

১০ অগস্ট বাদল অধিবেশন মুলতুবির আগে স্পিকার ওম বিড়লা জানিয়েছিলেন, যতদিন না লোকসভার স্বাধিকার রক্ষা কমিটি অধীরের বিষয়ে রিপোর্ট জমা দিচ্ছে, ততদিন তিনি সাসপেন্ড থাকবেন। বুধবার তা উঠল।

গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ৩০ অগস্ট ২০২৩ ২২:২৯
Share: Save:

কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরীর উপর থেকে সাসপেনশনের নির্দেশ প্রত্যাহার করে নিলেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। বুধবার দুপুরে এ বিষয়ে ‘সর্বসম্মত প্রস্তাব’ গ্রহণ করেছিল লোকসভার স্বাধিকাররক্ষা কমিটি। তার পর সেই প্রস্তাব কার্যকর করার অনুরোধ জানিয়ে বার্তা পাঠানো হয়েছিল স্পিকারকে। বিকেলে লোকসভা সচিবালয়ের উপসচিব বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানালেন, বুধবার থেকেই সাসপেনশন প্রত্যাহারের নির্দেশ কার্যকর হবে। প্রসঙ্গত, স্বাধিকাররক্ষা কমিটির তলব পেয়ে বুধবার বৈঠকে হাজির হয়েছিলেন লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীরও।

গত ১০ অগস্ট লোকসভায় নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে ভোটাভুটির শেষে শেষে ‘অসংসদীয় আচরণের’ অভিযোগ তুলে অধীরের বিরুদ্ধে স্বাধিকারভঙ্গের প্রস্তাব এনেছিলেন কেন্দ্রীয় সংসদীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী। বিরোধীশূন্য লোকসভায় সেই প্রস্তাব গ্রহণ করে অধীরকে সাসপেন্ড করেন স্পিকার ওম বিড়লা। জানান, যতদিন না লোকসভার স্বাধিকাররক্ষা কমিটি অধীরের বিষয়ে রিপোর্ট জমা দেয়, ততদিন তিনি সাসপেন্ড থাকবেন।

সাসপেনশনের সিদ্ধান্ত ঘোষণার সময় অধীর-সহ ‘ইন্ডিয়া’র সাংসদেরা সভা থেকে ওয়াকআউট করেছিলেন। আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না-দিয়েই একতরফা ভাবে অধীরকে সাসপেন্ড করার ঘটনায় সংসদীয় বিধি লঙ্ঘিত হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছিলেন বিরোধী সাংসদেরা এমনকি, সংবিধান বিশেষজ্ঞদের একাংশেরও। ১১ অগস্ট সংসদের বাদল অধিবেশনের সমাপ্তির পরে অধীর জানিয়েছিলেন, লোকসভার স্বাধিকাররক্ষা কমিটি ডেকে পাঠালে অবশ্যই তিনি যাবেন। কিন্তু ক্ষমা চাইবেন না।

বিজেপি সাংসদ সুনীলকুমার সিংহের নেতৃত্বে বুধবার স্বাধিকাররক্ষা কমিটির বৈঠক শেষে জানানো হয়েছে, অধীর জানিয়েছেন কাউকে আঘাত করা তাঁর মন্তব্যের উদ্দেশ্য ছিল না। পাশাপাশি, তাঁর মন্তব্যে কেউ আঘাত পেলে তার জন্য তিনি দুঃখিত বলে জানান বহরমপুরের সাংসদ। এর পরেই সর্বসম্মতিতে সাসপেনশন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় বৈঠকে। প্রসঙ্গত, মণিপুর পরিস্থিতিনিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদীর উদ্দেশে অধীরের ‘অন্ধ ধৃতরাষ্ট্র’ মন্তব্য নিয়েই বিজেপির মূল অভিযোগ ছিল। এ প্রসঙ্গে অধীরের যুক্তি ছিল, কোনও অসংসদীয় শব্দ নয়, ভাষার অলঙ্কার ব্যবহার করেছেন তিনি। অধীরের দাবি, চন্দ্রযান থেকে কুনোর চিতা পর্যন্ত সমস্ত বিষয়ে মোদী কথা বললেও মণিপুর প্রসঙ্গে চুপ থাকায় তিনি ‘নীরব’ শব্দ এবং ‘অন্ধ ধৃতরাষ্ট্র’ উপমা ব্যবহার করেছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE