Advertisement
E-Paper

বৌয়ের নামে ঋণ নিয়ে শোধ না করা নিষ্ঠুরতা

উত্তরাখণ্ড হাইকোর্টের বিচারপতি ভি কে বিস্ত ও বিচারপতি অলোক সিংহের বেঞ্চ সম্প্রতি এই রায় দিতে গিয়ে মন্তব্য করেছে, ‘‘পরিবার আদালতের বিচারক পেশ করা প্রমাণগুলিকে যথাযথ গুরুত্ব দিতে ও তার মাত্রা বুঝতে ব্যর্থ হয়েছেন।’’

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ জুন ২০১৮ ০৩:২২
অসহায়: কলেজ স্ট্রিটে ম্যানহোল সাফাই করছেন এক কর্মী। নিজস্ব চিত্র

অসহায়: কলেজ স্ট্রিটে ম্যানহোল সাফাই করছেন এক কর্মী। নিজস্ব চিত্র

স্ত্রীর নামে ঋণ তো অনেকেই নেন। দেহরাদূনের বিনীত শর্মাও (নাম পরিবর্তিত) নিতেন। কিন্তু তিনি তা শোধ করতেন না। ফলে পাওনাদাররা এসে তাঁর স্ত্রীকে হেনস্থা করত। বিনীতের স্ত্রী নিষ্ঠুরতার অভিযোগ তুলে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা করেছিলেন। কিন্তু পরিবার আদালত তাঁর সেই আর্জি খারিজ করে দেয়। উত্তরাখণ্ড হাইকোর্ট মঞ্জুর করেছে বিচ্ছেদ। যুক্তি, স্ত্রীর নামে ঋণ নিয়ে তা শোধ না করে তাঁকে হেনস্থা মুখে ঠেলে দেওয়াটাও নিষ্ঠুরতা।

উত্তরাখণ্ড হাইকোর্টের বিচারপতি ভি কে বিস্ত ও বিচারপতি অলোক সিংহের বেঞ্চ সম্প্রতি এই রায় দিতে গিয়ে মন্তব্য করেছে, ‘‘পরিবার আদালতের বিচারক পেশ করা প্রমাণগুলিকে যথাযথ গুরুত্ব দিতে ও তার মাত্রা বুঝতে ব্যর্থ হয়েছেন।’’ বেঞ্চের যুক্তি, নিষ্ঠুরতা দু’রকম হতে পারে। শারীরিক ও মানসিক। এই ক্ষেত্রে বিনীতের স্ত্রীকে দু’টিরই মুখোমুখি হতে হয়েছে। বিনীত স্ত্রীর নামে দামি গাড়ি কেনার জন্যও ঋণ নিয়েছিলেন। অনেক ক্ষেত্রে ঋণ নেওয়ার সময় স্ত্রীকে গ্যারান্টার হিসেবে রেখেছিলেন। কোনওটাই শোধ করেননি। তাঁর স্ত্রী গৃহবধূ, নিজস্ব কোনও রোজগার নেই। পরে বিনীত স্ত্রীকে ছেড়ে অন্য এক জনের সঙ্গে থাকতে শুরু করেন। এ দিকে স্ত্রীর বাড়িতে পাওনাদাররা এসে চড়াও হত। সামাজিক লজ্জার মুখেও পড়তে হত তাঁর স্ত্রীকে। তাঁর প্রতি এই নিষ্ঠুরতার কারণে বিবাহ বিচ্ছেদের আর্জি মঞ্জুর করে বিনীতকে উত্তরাখণ্ড হাইকোর্টের নির্দেশ, আট সপ্তাহের মধ্যে তাঁকে স্ত্রীধন ফিরিয়ে দিতে হবে।

uttarakhand high court Wife Loan
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy