সংশয় কাটিয়ে ছন্দে ফিরছে হাইলাকান্দির চা বাগান।
নোট-সঙ্কটে চা বাগানের শ্রমিকদের মজুরি বন্ধ হওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। হাহাকার ছড়িয়েছিল হাইলাকান্দির চা বাগানগুলিতে। কবে টাকা হাতে পাবেন তা নিয়ে উৎকণ্ঠায় ছিলেন শ্রমিকরা। বাগান শ্রমিকদের কথা বিবেচনা করে আরবিআই-য়ের নতুন নির্দেশ পায় প্রশাসন। হাইলাকান্দির জেলাশাসক বেশিরভাগ চা বাগানের চাহিদামতো টাকা ব্যাঙ্ক থেকে জোগাড় করার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। তার জেরেই স্বস্তি ফিরেছে বাগানগুলিতে।
গত রাতেই হাইলাকান্দির ১১টি চা বাগান কর্তৃপক্ষ তাঁদের চাহিদামতো ৮৮ লক্ষ ২০ হাজার টাকা পেয়েছেন। আজ বাগান শ্রমিকদের মজুরি মিটিয়ে দেওয়া হয়। হাইলাকান্দির শ্রম আধিকারিক আলিমউদ্দিন জানিয়েছেন, জেলার ১৪টি চা বাগানের মধ্যে ১১টিই টাকা পেয়েছে। বাকি একটি বাগানের টাকা শিলচর থেকে দেওয়া হয়েছে। আরও দু’টি চা বাগানের কোনও অ্যাকাউন্ট এসবিআই ব্যাঙ্কে না থাকায় তাদের টাকা পেতে কিছুটা সমস্যা হয়েছে। তবে তা দ্রুত মিটে যাবে।
উল্লেখ্য, খুচরো নোটের অভাবে গত সপ্তাহে জেলার কোন চা বাগানে শ্রমিকদের সাপ্তাহিক মজুরি দেওয়া যায়নি। এ নিয়ে হাইলাকান্দির জেলাশাসক মলয় বরা চা বাগান কর্তৃপক্ষ, ব্যাঙ্ক এবং সরকারি বিভিন্ন বিভাগের আদিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নির্দেশে জেলা প্রশাসন ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে।
আজ আয়নাখাল চা বাগানের ম্যানেজার সুমন্ত চৌধুরী জানান, তাঁরা চাহিদামতো টাকা হাতে পেয়েছেন। এ দিন দুপুরে আয়নাখাল, সিঙ্গালা ও লক্ষ্মীনগরের বাগানে মজুরি দেওয়া হয়েছে। খুশি শ্রমিকরা। বাগানের পঞ্চায়েত সদস্য গোলাপ ভর বলেন, ‘‘মজুরি পাওয়ায় বাগানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে।’’ এ দিন সে সব বাগানে অস্থায়ী দোকান বসে। কেনাকাটায় ভিড় জমে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy