স্কুলে অন্য ছেলেদের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি করছিল বছর দশেকের এক ছাত্র। তার শাস্তি হিসেবে ওই ছাত্রের যৌনাঙ্গে নখ বসিয়ে দিলেন এক শিক্ষক। পঞ্চম শ্রেণির ওই ছাত্রকে রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়। তার যৌনাঙ্গে সেলাই করতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। অন্ধ্রপ্রদেশের পূর্ব গোদাবরী জেলার একটি স্কুলে এমন ঘটনা ঘটেছে।
আতঙ্কিত ওই ছাত্র সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, স্কুলের সিঁড়ি দিয়ে যখন তারা নামছিল, সেই সময় এক ছাত্র তাকে ধাক্কা মারে। এতেই তার অঙ্কের শিক্ষক রেগে যান। সঙ্গে সঙ্গে তিনি নখ দিয়ে তাকে চিমটি কাটেন। ওই ছাত্রের কথায়, “আমার যন্ত্রণা শুরু হয়ে যায়। দেখি প্যান্ট রক্তে ভেসে যাচ্ছে।” ওই শিক্ষক কিন্তু সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ইচ্ছাকৃত ভাবে তিনি ওই ছাত্রকে আঘাত করেননি। তাঁর কথায়, “ওই ছেলেটি দৌড়ে আসছিল। ও পড়েই যেত, আমি ওকে বাঁচানোর চেষ্টা করি। ভুলবশত ওর আঘাত লেগে যায়। বিশ্বাস করুন, আমি এটা জেনে বুঝে করিনি।”
ওই শিক্ষকের কথায় অবশ্য চিড়ে ভিজছে না। স্কুল কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যেই ছাত্রের পরিবারের কাছে লিখিত ভাবে ক্ষমা চেয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, ওই ছাত্রের পরিবার অভিযোগ জানালে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হবে। তবে এখনও ওই ছাত্রের পরিবার পুলিশে অভিযোগ করেনি। সূত্রের খবর, ওই ছাত্রের আরও দুই ভাই একই স্কুলে পড়ে। তাই কর্তৃপক্ষের নির্দেশেই ওই ছাত্রের বাবা-মা অভিযোগ করতে ভয় পাচ্ছেন।
রাজ্য শিক্ষা দফতরের এক ইনস্পেক্টর জানিয়েছেন, এর আগেও এই ধরনের ঘটনার জন্য ওই স্কুলটিকে সতর্ক করা হয়েছে। তাঁর কথায়, “এই নিয়ে এটা তৃতীয় বার হল। সুতরাং মানতেই হবে যে ওই স্কুলে নিগ্রহের ঘটনা ঘটছে। তদন্ত করে দেখছি, আদৌ ওই স্কুলে যোগ্য শিক্ষকরা বিষয়টিকে সামলাচ্ছেন কি না।”
একের পর শিশু নির্যাতন আর ধর্ষণের ঘটনায় গত কয়েক মাসে একাধিক বার শিরোনামে এসেছে বেঙ্গালুরুর একাধিক স্কুল। শিশু নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন বাবা-মায়েরা সেই সব স্কুলে ধর্নাও দিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে ঠিক কী ভাবছেন রাজামুন্দ্রির ওই ছাত্রের বাবা-মা? দশ বছরের ওই ছাত্রের মা বললেন, “এটা প্রথম বার নয়। আমি সব সময় চিন্তায় থাকি যে, আমার সন্তানদের উপর স্কুলে কী কী অত্যাচার চলছে!”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy