ওড়িশার জগৎসিংহপুর জেলায় ১৫ বছরের নাবালিকাকে গণধর্ষণ করার অভিযোগ উঠল দুই যুবকের বিরুদ্ধে। শুধু তা-ই নয়, ওই নাবালিকা সন্তানসম্ভবা হয়ে পড়লে তাকে জীবিত অবস্থাতেই পুঁতে দেওয়ার চেষ্টা করেন অভিযুক্তেরা। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁরা সম্পর্কে একে অপরের ভাই।
দীর্ঘ দিন ধরেই ওই নাবালিকাকে অভিযুক্তেরা ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই নাবালিকা সন্তানসম্ভবা হয়ে পড়লে নিজেদের কুকীর্তি ঢাকতে গর্ভপাত করানোর সিদ্ধান্ত নেন ওই দুই যুবক। তার জন্য প্রয়োজনীয় খরচও দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়। অভিযোগ, দুই যুবকের কথায় গর্ভপাত করাতে নির্দিষ্ট জায়গায় পৌঁছে প্রথমে কাউকে দেখতে পায়নি নির্যাতিতা। পরে সে খেয়াল করে মাঠের মধ্যে গর্ত খোঁড়া হয়েছে। অভিযুক্তেরা তখন তাঁকে হুঁশিয়ারি দেন, গর্ভপাত না-করালে জীবন্ত পুঁতে দেওয়া হবে। কোনও রকমে সেখান থেকে পালিয়ে বাড়িতে গিয়ে সব ঘটনা খুলে বলে ওই নাবালিকা। তার পরিবার থানায় অভিযোগ দায়ের করে।
আরও পড়ুন:
ইতিমধ্যেই ওই নাবালিকার শারীরিক পরীক্ষা করানো হয়েছে। তার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করলেও এই ঘটনায় আরও এক জনকে খুঁজছে পুলিশ। একের পর এক ধর্ষণের ঘটনায় ওড়িশার আইনশৃঙ্খলা এবং প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বালেশ্বরের কলেজে ছাত্রীকে যৌন হেনস্থা এবং তার জেরে গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার ঘটনায় এমনিতেই উত্তাল এই রাজ্য। সেই আবহেই গঞ্জাম, কেওনঝড়, ময়ূরভঞ্জ, জাজপুরে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। চলতি সপ্তাহেই জগৎসিংহপুরে এক তরুণীকে খামারবাড়িতে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। সপ্তাহ ঘুরতে না-ঘুরতেই ফের গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল ওড়িশার এই জেলায়।