এক কিশোরকে নৃশংস ভাবে খুন করে তাঁর কাটা মুন্ডু থানায় ছুড়ে ফেলে পালাল দুষ্কৃতীরা। বুধবার এই বর্বরোচিত ঘটনাটি ঘটেছে তামিলনাড়ুর কুড্ডালোর জেলায়। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে মূল অভিযুক্ত এখনও পলাতক।
রেড্ডিচাভাড়ি থানার সিসিটিভি ফুটেছে দেখা গিয়েছে, রাতের অন্ধকারে থানার বিল্ডিংয়ের সামনে এসে দাঁড়াল একটি মোটরবাইক। দুই বাইকআরোহীর এক জনের হাতে ধরা একটি বড়সড় ব্যাগ। হঠাৎই সেটা থানায় ভিতরে ছুড়ে মারল তারা। ঠিক কী ঘটেছে তা বোঝার আগেই সেখান থেকে সরে পড়ে আরোহীরা। পুলিশকর্মীরা ছুটে গিয়ে দেখেন, সেই ব্যাগের মধ্যে রয়েছে একটি কাটা মুন্ডু।
আরও পড়ুন
কোতোয়ালিতে বাড়ির সামনে পিটিয়ে খুন প্রাক্তন ডিওয়াইএফ নেতাকে
কুড্ডালোরের রেড্ডিচাভাড়ি থানার পুলিশ জানিয়েছে, ওই কাটা মুন্ডুটি শ্বেথন নামে ১৭ বছরের এক কিশোরের। থানা থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে পুদুচেরির একটি লেক থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনার পর যৌথ ভাবে তদন্তে নেমেছে তামিলনাড়ু ও পুদুচেরির পুলিশ আধিকারিকেরা। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, শ্বেথনকে পুদুচেরির ওই লেকের কাছে খুন করা হয়েছিল। এর পর তাঁর দেহ লেকে ফেলে দেওয়া হয়। তবে কাটা মুন্ডুটি নিয়ে তা পুদুচেরির পাশেই তামিলনাড়ুর ওই থানায় কেন ছুড়ে ফেলা দেওয়া হল তা এখনও বুঝে উঠতে পারেনি পুলিশ।
ওই কিশোরকে খুনের পিছনে কোনও একটি গ্যাংয়ের হাত রয়েছে বলে দাবি তদন্তকারী অফিসারদের। মোটরবাইক চুরি করা বা চেন ছিনতাই করাই তাদের কাজ। পুদুচেরির এক শীর্ষ পুলিশ আধিকারিক রাজীব রঞ্জন বলেন, “এই ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে প্রধান অভিযুক্ত বিনোদের খোঁজে এখনও তল্লাশি চালানো হচ্ছে। সম্ভবত শ্বেথন ওই গ্যাংয়ের সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য পুলিশকে জানিয়েছিল। এই সন্দেহের বশেই তাঁকে খুন করা হতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে।”