বিহারে ব্যবসায়ী তথা বিজেপি নেতা গোপাল খেমকাকে গুলি করে খুনের অভিযোগ উঠেছে। ছ’বছর আগে একই ভাবে খুন হয়েছিলেন তাঁর পুত্র গুঞ্জন খেমকা। এই আবহে নীতীশ কুমার সরকারের দিকে আঙুল তুলেছে বিরোধীরা। তেজস্বী যাদব থেকে রাহুল গান্ধী এই ঘটনায় সরব হয়েছেন। এর পরেই খেমকার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী বিজয়কুমার সিংহ। তার পরেই তিনি প্রতিশ্রুতি দেন, ঘটনায় উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে। প্রয়োজনে ‘এনকাউন্টার’ করা হবে। অপরাধীদের বাড়ি বুলডোজ়ার দিয়ে ভেঙে ফেলা হবে।
শুক্রবার রাতে বাড়ির সামনে গোপালকে কাছ থেকে গুলি করে খুন করে পালায় দুষ্কৃতীরা। পুলিশ এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছে। আততায়ীদের খোঁজ চলছে। কিন্তু এই ঘটনায় এখনও কেউ ধরা পড়েননি। এই নিয়েই সরব হয়েছেন বিরোধীরা। তার পরেই শনিবার খেমকার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী বিজয়কুমার। ফিরে এসে এক্স (সাবেক টুইটার)-এ লেখেন তিনি, ‘‘খেমকার পরিবারের পাশে রয়েছি আমরা। এই ঘটনায় যাঁরা জড়িত, তাঁরা পৃথিবীর যে কোনও প্রান্তেই থাকুক না কেন, টেনে বার করে আনা হবে। প্রয়োজনে ‘এনকাউন্টার’ করা হবে। অপরাধীদের বাড়িতে বুলডোজ়ার চালাতে হলে পিছপা হবে না প্রশাসন। বিহারের পুলিশ এবং প্রশাসনকে সম্পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। কোনও রাজনৈতিক বা আইনি রক্ষাকবচ থাকবে না, কঠোর পদক্ষেপ করা হবে।’’ এর পরে সংবাদমাধ্যমের সামনে কথা বলার সময় বিহারের ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’ আধিকারিকদের দিকেও আঙুল তোলেন বিজয়কুমার। তিনি জানান, যে আধিকারিকদের গাফিলতিতে এ ধরনের ঘটনা হচ্ছে, তাঁদের রেয়াত করা হবে না।
আরও পড়ুন:
বিহারের এই ঘটনায় সরকারের দিকে আঙুল তুলেছেন রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি) নেতা তথা লালুপ্রসাদ যাদবের পুত্র তেজস্বী। তিনি খেমকার বাড়িতে গিয়ে তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। তার পরে বলেন, ‘‘বিহারের ব্যবসায়ীরা এখন পালাতে চাইছেন রাজ্য ছেড়ে। তা হলে রাজ্যে শিল্প আসবে কী করে? পটনার বাজারে এ রকম একটা কাণ্ড হল। তার কাছেই রয়েছে জেলাশাসক, পুলিশ সুপারের বাড়ি। একটা থানাও রয়েছে। কিন্তু পুলিশ এল দু’ঘণ্টা পরে। কেন?’’ তেজস্বীর আরও কটাক্ষ, ছ’বছর আগে খেমকার পুত্রের খুনের পরেও কেউ ধরা পড়েননি। তাঁর কথায়, ‘‘জঙ্গলরাজ চলছে। প্রধানমন্ত্রী এলে দয়া করে জিজ্ঞেস করুন, এটা কোন রাজ্য?’’ লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল বলেন, ‘‘এনডিএ জোট বিহারকে দেশের অপরাধ-রাজধানীতে পরিণত করেছে। এখানে সরকার ব্যর্থ।’’