পুলিশ তদন্ত নেমে দুই নাবালিকার বাবা এবং সৎমা-সহ মোট সাত জনকে গ্রেফতার করেছে। প্রতীকী ছবি।
সংসারে চরম আর্থিক অনটন। অভাব মেটাতে ১৪ বছর বয়সি দুই যমজ কন্যাকে বিক্রি করার অভিযোগ উঠল তেলঙ্গানার এক দম্পতির বিরুদ্ধে। কামারেডি জেলার মাচারেডি এলাকার ঘটনা। পুলিশ সূত্রে খবর, বিয়ের নাম করে ওই নাবালিকাদের বিক্রি করে দিয়েছিলন তাদের বাবা এবং সৎমা। তেলঙ্গানা পুলিশ ইতিমধ্যেই বাবা, মা-সহ সাত অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পকসো আইনের অধীনে মামলাও দায়ের করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
কামারেডি জেলার এসপি শ্রীনিবাস রেড্ডি জানিয়েছেন, যমজ দুই বোনের জন্মের পর তাদের মা মারা যান এবং বাবা অন্য এক মহিলাকে বিয়ে করেন।
শ্রীনিবাস বলেন, “যমজ বোনের বাবা এবং সৎমা আর্থিক সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য তাদের বিক্রি করার পরিকল্পনা করেছিলেন। তাঁরা শরমন এবং কৃষ্ণ কুমার নামে রাজস্থানের বাসিন্দা দুই যুবকের সঙ্গে এক মেয়েকে ৮০ হাজার এবং অন্য জনকে ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করার চুক্তি করেন। যমজ বোনদের বিয়েতেও রাজি করান তাঁরা। হায়দরাবাদ শহরের কাছে বিয়ে দেওয়া হয় দুই বোনের।’’
দুই বোন সংসার পাতার পর পরই জানতে পারেন, তাঁদের স্বামীরা আগে থেকেই বিবাহিত এবং তাঁদের সন্তানও রয়েছে। চরম শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন শুরু হয় দুই বোনের উপর। শীঘ্রই তারা বুঝতে পারে, তাদের বিক্রির পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এক বোন অভিযুক্তদের খপ্পর থেকে বেরিয়ে এসে ১৬ জানুয়ারি উগরওয়াই গ্রামে পৌঁছয় এবং সেখানে জেলা শিশু সুরক্ষা অফিসারকে (ডিসিপিও) পুরো বিষয়টি জানায়। এর পর ডিসিপিও পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আর এক বোনকে উদ্ধার করে।
দুই যমজ বোনের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত নেমে তাদের বাবা এবং সৎমা-সহ মোট সাত জনকে গ্রেফতার করেছে। অভিযুক্তদের ইতিমধ্যেই হেফাজতে পাঠিয়ে বিস্তারিত তদন্ত শুরু হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy