তেনজিন মারিকো ও তাঁর পাঁচ ভাইকে নিয়ে নব্বইয়ের দশকে তিব্বত ছেড়ে ভারতে চলে আসেন তেনজিনের বাবা-মা। ভারতে এসে হিমাচল প্রদেশের বীর এলাকায় পাকাপাকিভাবে বসবাস শুরু করেন তাঁরা। ছেলে হয়ে জন্মালেও ছোটবেলা থেকেই তেনজিনের আচার আচরণে মেয়েলি ভাব ছিল। মেয়েদের জিনিসেই বেশি আকৃষ্ট হত সে। স্বভাবের পরিবর্তনের জন্য মাত্র নয় বছর বয়সে তাঁকে সন্ন্যাসী হওয়ার জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হয় বৌদ্ধ মঠে। সন্ন্যাসী জীবনে ইতি টেনে বর্তমানে তিনি একজন মডেল হিসাবে প্রতিষ্ঠিত। তিনিই প্রথম তিব্বতি রূপান্তরকামী যিনি মডেল হিসাবে নিজেকে তুলে ধরলেন।
তবে তিব্বতের মতো ছোট সম্প্রদায় থেকে এই কাজ করা মোটেই সহজ ছিল না তেনজিনের পক্ষে। এক সংবাদমাধ্যমকে তেনজিন বলেছেন, ‘‘একদিন সকালে উঠে আমি ভাবলাম রূপান্তরকামী হব, আর হয়ে গেলাম ব্যাপারটা মোটেই সে রকম ছিল না। আর্থিক ও সামাজিক বিভিন্ন বাধা পার করে আমি আজ এখানে।’’
২০১৪ সালে নিজেকে রূপান্তর করার প্রক্রিয়া শুরু করেন তিনি। সে সময় মেয়েদের পোশাক পরে তাঁর নাচের ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল। তারপরই মঠের সন্ন্যাসী জীবন ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। ২০১৫ সালে রূপান্তর প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে শল্য চিকিত্সার সাহায্য নেন তিনি।
পরিপূর্ণ মডেল হওয়ার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচুর মানুষ ফলো করছেন তাঁকে। ভারত ও তিব্বতের মানুষের কাছে তো বটেই, প্রচুর রূপান্তরকামীর কাছে তেনজিন মারিকো হয়ে উঠেছেন নতুন উদাহরণ।
আরও পড়ুন: তাড়কা রাক্ষসীর সঙ্গে মমতার তুলনা, বিতর্কিত মন্তব্য বিজেপি নেতার
Your wings are already exist. All you have to do is fly. #fly #phur #iloveyouall #tenzinmariko
(দেশজোড়া ঘটনার বাছাই করা সেরাবাংলা খবরপেতে পড়ুন আমাদেরদেশবিভাগ।)