আশার আলো দেখা গিয়েছিল সুড়ঙ্গ বেয়ে ক্যামেরা পাঠিয়ে আটকে পড়া শ্রমিকদের অন্তত এক ঝলক দেখতে পাওয়ার দিনেই। —ফাইল চিত্র।
দীর্ঘ প্রতীক্ষা শেষে ১৭তম দিনে অবশেষে উদ্ধার পর্ব হল ঠিকই। কিন্তু এক অর্থে উদ্ধারের প্রথম ‘জোরালো’ আশার আলো দেখা গিয়েছিল সুড়ঙ্গ বেয়ে ক্যামেরা পাঠিয়ে আটকে পড়া শ্রমিকদের অন্তত এক ঝলক দেখতে পাওয়ার দিনেই। সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, সেই কৃতিত্ব এক বঙ্গসন্তানেরই। সিঙ্গুরের দৌদীপ খাড়া।
সিল্কিয়ারা সুড়ঙ্গে ধস নামার প্রায় আট দিন পরে পাইপ বেয়ে এন্ডোস্কোপিক ক্যামেরা পৌঁছেছিল ধসের অপর প্রান্তে। যে প্রযুক্তি ব্যবহার করে পেটের ভিতরে ক্যামেরা পাঠিয়ে অসুখ বা সমস্যার সন্ধান করা হয়, খানিকটা সেই জাতীয় প্রযুক্তি। ওই ক্যামেরার মাধ্যমেই প্রথম বার আটক শ্রমিকদের কয়েক জনকে চোখে দেখে আশ্বস্ত হন পরিবারের লোকেরা। প্রশাসন এবং উদ্ধারকারীরাও বুঝতে পারেন যে, আটকে থাকলেও, সুস্থ আছেন তাঁরা। সুড়ঙ্গের ওই ধসের মধ্যে দিয়ে সেই ক্যামেরা পাঠানোর পিছনে রয়েছেন এক বেসরকারি পরিকাঠামো নির্মাণ সংস্থার কর্মী দৌদীপের। মূলত তিনি ও তাঁর দল মিলে ওই ধসের মধ্যে দিয়ে প্রায় একশো মিটার দৈর্ঘ্য অতিক্রম করে এন্ডোস্কোপিক ক্যামেরা পৌঁছে দেন। যার মাধ্যমে যোগাযোগ স্থাপন হয় শ্রমিকদের সঙ্গে।
শ্রমিকেরা যেখানে রয়েছেন, সেখানে ধসের অবস্থান ওই ক্যামেরাতেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল উদ্ধারকারীদের কাছে। দৌদীপ জানান, ‘‘যখন প্রথম ক্যামেরা পৌঁছনোর পরে আটকদের সঙ্গে কথা বলি, তখন আমরা সকলে শিহরিত। আজ আমরা খুব খুশি যে, সকলে উদ্ধার হয়েছেন।’’ আজ উদ্ধারের পরে দৌদীপ ও তাঁর দলকে জড়িয়ে ধরেন আটক শ্রমিকেরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy