সাভারকর বীর না বিশ্বাসঘাতক, এই বিতর্ক এ বার বিভেদের নতুন রেখা এঁকে দিল বিজেপি-বিরোধী জোটে।
সাংসদ পদ হারানোর পরে সাংবাদিক বৈঠকে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, “আমার পদবি সাভারকর নয় যে আমি ক্ষমা চেয়ে মাথা নত করব। আমি গান্ধী, অন্যায়ের কাছে মাথা নিচু করি না।” কালই মহারাষ্ট্রের শিবসেনা (ইউবিটি)-র প্রধান উদ্ধব ঠাকরে রাহুলকে সতর্ক করে বলেছিলেন, এমন মন্তব্য করা উচিত নয় যা অন্য সহযোগীদের আহত করে। সেখানে না থেমে মহারাষ্ট্রের এই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাহুলের মন্তব্যের প্রতিবাদ জানাতে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গের সোমবারের নৈশভোজ বয়কট করলেন।
রাহুলের সাম্প্রতিক মন্তব্যে বিজেপি ও তাদের শরিক শিবসেনার অন্য অংশের নেতা একনাথ শিন্দে রাহুলকে আক্রমণ করছেন। শিন্দে বলেছেন, “আন্দামানের জেলে ভরে রাখা উচিত রাহুলকে।” বিজেপি নেতা অনুরাগ ঠাকুরের মন্তব্য— “সত্যিই সাভারকর নন রাহুল, কোনও দিন হবেনও না।”
সাভারকর নিয়ে রাহুল ও উদ্ধবের টক্কর এই প্রথম নয়। বস্তুত বালাসাহেব ঠাকরের হাতে গড়া উগ্র হিন্দুত্ববাদী শিবসেনা আরএসএস-এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সাভারকরের অনুসারী। মহারাষ্ট্রে হিন্দুত্ববাদী রাজনীতিতে বিজেপি ভাগ বসানোয় সংগঠন দুর্বল হচ্ছে দেখে উদ্ধবের নেতৃত্বে শিবসেনা বিজেপি-বিরোধী রামধনু জোটের শরিক, কিন্তু সাভারকরের অবমাননায় মুখ বুজে থাকলে ভোট কমতে পারে বলে মনে করছে তারা। উদ্ধব তাই ফের এ দিন বলেন, “গণতন্ত্র ফেরানোর লড়াইয়ে বিজেপি-বিরোধীদের সঙ্গে আছি, থাকবও। তবে সাভারকরের সম্পর্কে কটূ মন্তব্য সহ্য করব না। আমরা সাভারকরকে পুজো করি।”
শিবসেনার উদ্ধব অনুগত অংশের নেতা সাংসদ সঞ্জয় রাউত বলেন, “জোটের স্বার্থে কোনও নেতার এমন কিছু বলা উচিত নয়, যাতে অন্য শরিকেরা দুঃখ পায়। আমি কংগ্রেস নেতৃত্বকে বোঝানোর জন্য তাঁদের সঙ্গে আলোচনায় বসব।”
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)