এসআইআর মামলায় আর কোনও নতুন আবেদন গ্রহণ করা হবে না বলে জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানি ফের শুরু হওয়ার মুখেই প্রধান বিচারপতি সূর্য কান্ত আদালতের এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। প্রধান বিচারপতি বলেন, এই বছরের মধ্যে এই মামলার শুনানি শেষ হবে বলে মনে হচ্ছে না। সব মামলারই যথোপযুক্ত সময় পাওয়া উচিত। প্রধান বিচারপতির প্রস্তাব, নতুন বছর থেকে বার-এর পক্ষ থেকে আইনজীবীরা লিখিত ভাবে জানিয়ে দিন, সওয়াল শেষ করতে তাঁরা কত সময় নেবেন।
প্রধান বিচারপতি এ দিন প্রথমে নির্বাচন কমিশনের পক্ষে আইনজীবী রাকেশ দ্বিবেদীকে তাঁর বক্তব্য জানাতে আহ্বান করেন। রাকেশ বলেন, রাজ্যগুলো প্রথমে এসআইআর নিয়ে তাদের আপত্তিগুলো সম্পূর্ণ ভাবে প্রকাশ করে নিক। তার পর কমিশন সম্মিলিত ভাবে তার জবাব দেবে। এর পর আবেদনকারীদের তরফে তামিলনাড়ুর আইনজীবী রাজু রামচন্দ্রন তাঁর সওয়াল শুরু করেন।
রাজু বলেন, “সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা হল নির্বাচন পরিচালনা করা ও ভোটদানকে সহজতর করা। যেখানে সংসদে আইন প্রণয়নের উপায় রয়েছে, সেখানে সংবিধান কমিশনকে সীমাহীন ক্ষমতা দেয়নি। নগরায়ণ ও শিক্ষার বিস্তার, কাজের কারণে মানুষের ঘন ঘন স্থানান্তর— এই সব কারণ দেখিয়ে ২৪ জুনের এসআইআর নির্দেশটি বিশেষ ভাবে বিহারের জন্যই প্রযোজ্য ছিল। বিহারে এসআইআরের কারণ যা দেখানো হয়েছিল, সেই একই কারণ হুবহু কপি-পেস্ট করে নয়টি রাজ্য ও তিনটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে দ্বিতীয় দফার এসআইআর চালানোর সিদ্ধান্তে ব্যবহার করা হয়েছে।” বিহারের এসআইআর নির্দেশে ভোটার তালিকা পরিমার্জনের কথাই বলা হয়েছিল, নাগরিকত্ব যাচাইয়ের কথা নয়— সওয়াল করেন রাজু। তাঁর প্রশ্ন, “বিএলওদের কি আগেভাগে সচেতন করা বা প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল যে, কোনও ভোটারকে অ-নাগরিক হিসেবে চিহ্নিত করে ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার ক্ষমতা তাদের রয়েছে?’’ রাজু আরও বলেন, সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩২৪-এর অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের কার্যকলাপ বিচারবিভাগের বিবেচনার আওতায় পড়ে। কমিশন যদি ক্ষমতার অপব্যবহার করে, তবে অবশ্যই আদালতের সেই কার্যকলাপ বাতিল করে দেওয়ার ক্ষমতা আছে।
পরবর্তী শুনানি হবে ১৬ ডিসেম্বর।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)