গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
নাথুরাম গডসেকে ‘দেশপ্রেমিক’ বলায় সাধ্বী প্রজ্ঞার বিরুদ্ধে তীব্র উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন। এ বার পুর আধিকারিককে ব্যাট দিয়ে পেটানোর ঘটনায় আকাশ বিজয়বর্গীয়র উপর তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কার্যত ক্রুদ্ধ মোদী এই ধরনের নেতাদের দল থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলেছেন। কার ছেলে সে সব না ভেবেই বহিষ্কার করা উচিত বলেও মন্তব্য করেন মোদী। মঙ্গলবার দলের সংসদীয় দলের বৈঠকে মোদী আরও বলেছেন, আকাশের জামিনের পর যাঁরা উল্লাসে মেতেছিলেন, তাঁদেরও একই ভাবে তাড়ানো উচিত। মোদীর এই মন্তব্যের পর স্বাভাবিক ভাবেই অস্বস্তি বাড়ল বাবা ছেলের কৈলাস-আকাশের।
গত ২৬ জুন বুধবার ইনদওরে উচ্ছেদ অভিযান ঘিরে পুর আধিকারিকদের সঙ্গে বাদানুবাদের পর এক পুরকর্মীকে ব্যাট দিয়ে পেটান আকাশ বিজয়বর্গীয়। তিনি ইনদওর-৩ কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক। পাশাপাশি তিনি আবার বিজেপির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক তথা পশ্চিমবঙ্গে দলের পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়র ছেলে। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়।
ঘটনার দিনই আকাশকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শনিবার তিনি জামিন পান। রবিবার ছাড়া পান জেল থেকে। ছাড়া পাওয়ার পর ছেলেকে অভ্যর্থনা জানাতে ওই দিন জেলের বাইরে হাজির ছিলেন কৈলাস। একই সঙ্গে আকাশের অনুগামী সমর্থকরা তাঁকে মালা পরিয়ে কার্যত বীরের সম্বর্ধনা দিয়ে নিয়ে যান ইনদওর বিজেপি পার্টি অফিসে। সেখানে আবার শূন্যে গুলি ছুড়ে, নাচানাচি করে কার্যত উৎসব পালন করা হয়।
এই পুরো পর্ব নিয়েই এ দিন তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। সোমবার সংসদীয় দলের বৈঠকের নেতৃত্বে ছিলেন মোদী। সেখানেই তিনি আকাশ এবং কৈলাসের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ অসন্তোষ প্রকাশ করেন। বৈঠকে উপস্থিত একাধিক সাংসদের সূত্রে খবর, মোদী এ দিন ছিলেন দৃশ্যতই ক্রুদ্ধ। বৈঠকে বক্তব্য পেশ করার সময় মোদী বলেন, ‘‘এই ধরনের লোককে দল থেকে বহিষ্কার করা উচিত। কার ছেলে সে সবও দেখা উচিত নয়। এবং এর ব্যতিক্রম হওয়া উচিত নয়।’’ পাশাপাশি যাঁরা আকাশের জামিনের পর উল্লাস প্রকাশ করেছিলেন, তাঁদেরও দল থেকে বার করে দেওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেন মোদী।
আরও পড়ুন: দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত ১৬, বন্ধ মূল রানওয়ে, ছুটি ঘোষণা, টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত বাণিজ্য নগরী
আরও পডু়ন: কলকাতায় অ্যাপ ক্যাবের সঙ্গে ধর্মঘটে এ বার হলুদ ট্যাক্সিও, চূড়ান্ত হয়রানি যাত্রীদের
কৈলাস প্রথম থেকেই ছেলের পাশে দাঁড়িয়েছেন। সোমবারও তিনি একটি সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থাকে বলেন, আকাশ ‘কাচ্চা খিলাড়ি’। অর্থাৎ কৈলাস কার্যত ছেলের কীর্তিকে প্রশ্রয়ই দিয়েছিলেন। আকাশের পাশাপাশি পুর কর্তৃপক্ষকেও কাঠগড়ায় তুলেছিলেন কৈলাস। কিন্তু খোদ প্রধানমন্ত্রী এ ভাবে উষ্মা এবং উদ্বেগ প্রকাশ করায় আকাশের পাশাপাশি কৈলাসের উপরও চাপ বাড়ল বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। বাবা-ছেলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এ বার দল সক্রিয় হতে পারে বলেও একটি অংশ মনে করছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy