উত্তরপ্রদেশের শ্রম প্রতিমন্ত্রী রঘুরাজ সিংহ। —ফাইল ছবি
দিলীপ ঘোষের ‘গুলি করে মারব’ মন্তব্যে তোলপাড় রাজনৈতিক মহল। তার মধ্যেই সেই দিলীপ ঘোষদের দলেরই অন্য এক জন আবার হুমকি দিলেন, নরেন্দ্র মোদী-যোগী আদিত্যনাথের বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারীদের ‘জ্যান্ত পুঁতে দেওয়া হবে’। তবে এ রাজ্যে নয়। এই মন্তব্য উত্তরপ্রদেশের মন্ত্রী রঘুরাজ সিংহের। আলিগড়ে একটি জনসভায় প্রকাশ্যে এমন মন্তব্য করায় তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
রবিবার আলিগড়ে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ)-র সমর্থনে একটি জনসভার আয়োজন করে বিজেপি। সেখানেই আমন্ত্রিত ছিলেন উত্তরপ্রদেশ সরকারের শ্রম দফতরের প্রতিমন্ত্রী রঘুরাজ সিংহ। সভার মঞ্চে তিনি বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অথবা মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের বিরুদ্ধে স্লোগান দিলে আমি তাদের জ্যান্ত পুঁতে দেব।’’
নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাশ হওয়ার পর সবচেয়ে বেশি প্রতিবাদ-বিক্ষোভ হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ এবং উত্তরপ্রদেশে। আগ্নিগর্ভ আন্দোলনে উত্তরপ্রদেশে ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। ওই সময় উত্তরপ্রদেশের আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা মোদী ও যোগীর নামে মুর্দাবাদ স্লোগান তুলেছিলেন। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের ব্যাখ্যা, মন্ত্রী রঘুরাজের এই হুঁশিয়ারি ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের উদ্দেশেই।
এর সঙ্গেই মন্ত্রী বলেন, ‘‘এই এক শতাংশ মানুষ সিএএ-র বিরোধিতা করছেন। তাঁরা ভারতে থাকেন, আমাদের করের টাকায় খান, আর তার পর নেতাদের বিরুদ্ধে ‘মুর্দাবাদ’ স্লোগান তোলেন। এই দেশ সব ধর্ম-জাতির মানুষের জন্য। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী বা মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে স্লোগান তোলা মেনে নেওয়া যায় না।’’ কিন্তু রাজ্য মন্ত্রিসভার এক জন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য কী ভাবে এমন মন্তব্য করতে পারেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই।
উল্লেখযোগ্য ভাবে এ রাজ্যের বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের বক্তব্যেও এই ‘থাকা-খাওয়া’র প্রসঙ্গ এসেছে। তিনিও একই সুরে বলেছেন, এখানে আসবে, থাকবে, খাবে আবার সরকারি সম্পত্তির ক্ষতি করবে। আলিগড়ের মতোই রবিবার নদিয়ার রানাঘাটেও সিএএ-র সমর্থনে একটি সভার আয়োজন করেছিল বিজেপি। সেই সভায় দিলীপবাবু সরাসরি হুমকি দিয়ে বলেন, ‘‘আমরা এলে লাঠি মারব, গুলি করব, জেলে পাঠাব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy