১৬ জানুয়ারি যাঁরা করোনার টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছিলেন, আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি তাঁদের দ্বিতীয় ডোজটি দেওয়া হবে বলে জানাল কেন্দ্র। ইতিমধ্যেই দেশ জুড়ে টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। ১২টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলোতে ৬০ শতাংশ স্বাস্থ্যকর্মীদের টিকা নেওয়া হয়ে গিয়েছে বলে সরকারি সূত্রে খবর।
পাশাপাশি রাজ্য সরকারগুলোকেও টিকাকরণ কর্মসূচির একটা সময়সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছে কেন্দ্র। এক বিবৃতিতে সরকার জানিয়েছে, ২০ ফেব্রুয়ারির আগে যেন সকল রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে স্বাস্থ্যকর্মীদের অন্তত এক বার টিকা নেওয়া হয়ে যায়। অন্য দিকে, সামনের সারির যোদ্ধাদের ক্ষেত্রে সেই সময়সীমা ৬ মার্চের আগে।
৬ মাসের মধ্যে ৩০ কোটি মানুষকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে কেন্দ্র। কিন্তু যে গতিতে টিকাকরণ চলছে, তাতে সেই লক্ষ্যপূরণ হবে কি না তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন চিকিৎসকরা। ধীর গতিতে টিকাকরণ কর্মসূচি একটা সংশয়ের আবহ তৈরি করছে বলে মনে করছেন তাঁরা।
তবে চিকিৎসক এবং বিভিন্ন রাজ্য প্রশাসন স্বীকার করছে, টিকা নিতে অনুৎসাহের বিষয়টাও গোটা প্রক্রিয়ার গতিকে মন্থর করে দিচ্ছে। গত ৩০ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ রাজ্যগুলোকে টিকাকরণ পর্ব বাড়ানোর উপরে জোর দেওয়ার পরামর্শ দেন। টিকাকরণের কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ানোর কথাও বলেন। তার পরই বহু রাজ্যে টিকাকরণ কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ানো হয়